---Advertisement---

শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ Unit – 01 | Growth, Development and Maturation in Bengali Notes | Child Development and Pedagogy for WB Primary TET, CTET, WBSSC TET & Others STET Exam Preparation in 2023

By Siksakul

Updated on:

---Advertisement---

Aspirants should read the Child Development & Pedagogy (Child Development and Pedagogy for WB Primary TET) Study Notes on Child Growth & Development Principle, Factor Influence of heredity and environment topic. This topic is useful and important for upcoming WB PRIMARY TET 2023, CTET, ASSAM TET, TRIPURA TET, WBSSC TET, WB MADRASHA TET and Other TET Exams.

শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ (Unit – 01) – Growth, Development and Maturation in Bengali Notes. (Child Development and Pedagogy for WB Primary TET)

Topics Covered –

1. Child Growth Definition, Characteristics and Principles (বৃদ্ধির সঙ্ঘা, বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য এবং বৃদ্ধির নীতি) 

2. Child Development Definition, Characteristics and Principles (বিকাশের সঙ্ঘা, বিকাশের বৈশিষ্ট্য এবং বিকাশের নীতি)

3. Difference between Child Growth and Development (শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের পার্থক্য)

4. Maturation – Definition and Characteristic (পরিণমনের সঙ্ঘা এবং পরিণমনের বৈশিষ্ট্য)

১. বৃদ্ধি ও বিকাশের সঙ্ঘা কি / কাকে বলে ?

(ক) বৃদ্ধি –

একটি নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে শিশুর দেহের আকার-আয়তন, উচ্চতা ও ওজন স্বতঃস্ফূর্ত এবং স্থায়ী পরিবর্তন হত্তয়াকেই বৃদ্ধি বলে।

(খ) বিকাশ –

বিকাশ বলতে বোঝায়, শিশু বা ব্যক্তির সহজাত দৈহিক, মানসিক ক্ষমতা বা পরদর্শিতার প্রকাশ ও বিস্তারকে, যা ব্যক্তিকে কঠিন থেকে কঠিনতম কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
অর্থাৎ বলা যায়, জন্মগ্রহণ করার পর থেকে শিশুর জীবনব্যাপী সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হল বিকাশ।

২. বৃদ্ধি ও বিকাশের অর্থ ও ধারণা কি ?

ব্যক্তির জীবনের মূল লক্ষ্য হল পরিবেশের সাথে অভিযোজন করা। পরিবেশ যেহেতু পরিবর্তন হয়, তাই পরিবর্তনশীল পরিবেশের সাথে অভিযোজন করার জন্য যে দুটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই দুটি উপাদান হল – ‘বৃদ্ধি’ ও ‘বিকাশ’।

(ক) বৃদ্ধির অর্থ ও ধারণা –

মনোবিদ Arnolt Jones এর মতে, যখন কোনো শিশু দৈহিক ভাবে উচ্চতা ও ওজনে বেড়ে ওঠাকে বৃদ্ধি বলে।
উদাহরণ – কোনো শিশুর জন্মের পর থেকে উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া, শিশুর হাত এবং পায়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি।
কিন্তু বলা সাপেক্ষ, শিক্ষা ও মনস্তত্ত্বে শুধুমাত্র আকার ও আয়তনে বেড়ে ওঠাকে বৃদ্ধি বলা হয় না, পরিণমনকেত্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আর পরিণমন বলতে বোঝায়, শিশু কোনো কিছু করার জন্য একটা উপযুক্ত স্তরে উপনীত হত্তয়াকে।
উদাহরণ – শিশু জন্মগ্রহণের পরই হাঁটাচলা করতে পারে না। কারণ তখন শিশুর পায়ের মাংসপেশী পরিপক্ক বা পুষ্ট নয়। একটা নির্দিষ্ট বয়স পর যখন শিশু একটু বড় হবে, তখন তার পায়ের মাংসপেশী পুষ্ট হবে এবং সে হাঁটাচলা করতে পারবে। যখনই সে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে তখন বলা হয় যে শিশুর পরিণমন ঘটেছে।

(খ) বিকাশের অর্থ ও ধারণা –

বিকাশ হল প্রাণীর মধ্যে ক্রমপরিবর্তন যেটা শুধুমাত্র শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। ক্রিয়াগত পরিবর্তন এর আবশ্যিক শর্ত।
উদাহরণ – কোনো কিছু করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া (কোনো শিশু আগে ৫০ গ্রাম ওজন বহন করতে পারতো কিন্তু বর্তমানে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ৫ কেজি ওজন বহন করতে পারে।), নির্ভুল ভাবে কোনো কাজ সম্পন্ন করা ইত্যাদি।
তবে বিকাশের ক্ষেত্রে একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে, বিকাশ অবশ্যই বৃদ্ধির ফলে ঘটে কিন্তু সব বৃদ্ধিই বিকাশ নয়।
উদাহরণ – একটি শিশু যে শারীরিক প্রতিবন্ধী। শিশুটির পায়ে ত্রুটির ফলে সে হাঁটতে পারে না। শিশুটির বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার পায়ের আকৃতির ও ওজনের পরিবর্তন হবে অর্থাৎ বৃদ্ধি ঘটবে কিন্তু সে তার পা দিয়ে সুস্থ ভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে না। সুতরাং তার পায়ের বিকাশ হবে না আগের মতোই থাকবে।
মনে রাখবে, বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্রিয়াগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় না, কিন্তু বিকাশের ক্ষেত্রে ধনাত্মক ক্রিয়াগত পরিবর্তন অবশ্যই হতে হবে।

৩. বৃদ্ধি ও বিকাশের বৈশিষ্ট্য এবং নীতিগুলো আলোচনা করো ?

(ক) বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য –

(i) কোনো কোনো মনোবিদ মনে করেন বৃদ্ধি পরিবেশের ফলে ঘটে আবার কোনো কোনো মনোবিদ মনে করেন বৃদ্ধি বংশধারার ফলে ঘটে। কিন্তু অধিকাংশ মনোবিদ মনে করেন যে বৃদ্ধি পরিবেশ ও বংশধারার উভয়ের মিথষ্ক্রিয়ার ফলে ঘটে।
(ii) বিভিন্ন বয়সের বৃদ্ধির হার বিভিন্ন হয়। H.V Meredith বৃদ্ধির ওপর “লম্ব অধ্যায়ন পদ্ধতি” (দীর্ঘ দিন পরীক্ষা) করে বলেছেন –
(a) জন্ম থেকে দুই বা আড়াই বছর পর্যন্ত বৃদ্ধির হার খুব বেশি হয়।
(b) আড়াই বছর থেকে কৈশোর কালের দুই বছর আগে পর্যন্ত (আনুমানিক ১০ বছর পর্যন্ত) বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কম হয়।
(c) আনুমানিক ১০ বছর থেকে আবার বৃদ্ধি হার খুব বেশি হয়।
(d) তারপর কৈশোর কাল বা বয়ঃসন্ধি কালের পর বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়।
(iii) হিলগার্ড ১৯৩২ সালে এবং ব্রুনার ১৯৬৩ সালে বৃদ্ধির ওপর পরীক্ষা করে দেখেছেন বৃদ্ধি অনুশীলনের‌ ফলে ঘটে সে বিষয়ে ধনাত্মক প্রভাব পেয়েছে। সুতরাং, বৃদ্ধি অনুশীলনের মাধ্যমে ঘটানো সম্ভব।
(iv) একই বয়সের শিশুদের মধ্যে বৃদ্ধির হারের পার্থক্য দেখা যায়। দেখা যায় সম বয়স হত্তয়া সত্ত্বেও কারো ধীরে বৃদ্ধি ঘটে আবার কারো দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।
(v) বৃদ্ধিতে সম হার দেখা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, যে শিশুটি বৃদ্ধির দিকে অন্য শিশুদের থেকে এগিয়ে সেই শিশুটি সারা জীবন এগিয়েই থাকে।
(v) একটা স্তর পর্যন্ত বৃদ্ধি নিরবচ্ছিন্ন এবং ধারাবাহিক থাকে।
তবে এটা খেয়াল রাখতে হবে, এই বৈশিষ্ট্যটি একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অপরদিকে অসুবিধাজনক। শিশুর বৃদ্ধি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ঘটে। বয়সভেদে বৃদ্ধির‌হার পরিবর্তন ঘটাতে পারে, কিন্তু কোনো বয়সে বৃদ্ধি থেমে যাবে আবার আরেকটা বয়সে গিয়ে পুনরায় শুরু হবে – এমনটি কখনো হয় না। সুতরাং, বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন এবং ধারাবাহিকতা একটি অন্যতম শর্ত।

(ক/i) বৃদ্ধির নীতি –

(a) বংশগতি ও পরিবেশের মিথষ্ক্রিয়ার ফল।
(b) বয়সভেদে বৃদ্ধির হারের পার্থক্য।
(c) অনুশীলন সাপেক্ষ।
(d) সমবয়সীদের মধ্যে বৃদ্ধির হারের তারতম্য।
(e) ব্যক্তিভেদে বৃদ্ধির সম হার সাধারণত বজায় থাকে।
(f) বৃদ্ধি নিরবচ্ছিন্ন এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

(খ) বিকাশের বৈশিষ্ট্য –

(i) শিখনের ফলে বিকাশ ঘটে। পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলে শিশু যে শিখন অভিজ্ঞতাগুলি অর্জন করে তারই সমন্বয় হল বিকাশ।
(ii) বিকাশ হল সংশ্লেষণ: বিকাশ হল একটি প্রক্রিয়া। প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক শিখন সামগ্রিক বিকাশকে কার্যকারী করে তােলে। তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক শিখনের সমন্বয় হল বিকাশ, এ ধারণা সঠিক নয়। মনােবিজ্ঞানী পিয়াজের মতে বিকাশের 4টি প্রক্রিয়া আছে—
(a) পরিমন।
(b) অভিজ্ঞতা।
(c) মানসিক যােগাযােগ অর্থাৎ ভাষার মাধ্যমে শিখন, শিক্ষালয়ের শিক্ষা বা পিতামাতার প্রশিক্ষণ।
(d) ভারসাম্যকরণ।
(iii) বিকাশ একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মাতৃগর্ভ থেকে আমৃত্যু বিকাশ ঘটে। যদিও এর হার সবসময় স্থির থাকে না। হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে।
(iv) ব্যক্তির বিভিন্ন বিকশিগুলি পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত। ব্যক্তির দৈহিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, সামাজিক বিকাশ, প্রাক্ষোভিক বিকাশ পৃথকভাবে ঘটে না। পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং পরস্পর নির্ভরশীল।
(v) বিকাশ একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া। ব্যক্তিসকলের বিকাশে অসমতা পরিলক্ষিত হয়। দৈহিক, মানসিক, সামাজিক প্রভৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পার্থক্য শুধু ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে নয়, একই ব্যক্তির বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন হারে বিকাশ ঘটে।
(vi) বিকাশ সামগ্রিক থেকে বিশেলের দিকে ঘটে। প্রতিটি বিকাশই সামগ্রিক থেকে বিশেষের দিকে ঘটে। শিশু যখন কিছু ধরার চেষ্টা করে তখন সমস্ত হাতকেই যে ব্যবহার করে। পরে হাতের সমস্ত আঙুলগুলি ব্যবহার করে এবং অবশেষে দুটি বা তিনটি আঙুল দিয়েই ধরতে পারে।
(vii) বিকাশে লিঙ্গগত পার্থক্য বর্তমান। স্ত্রী-পুরুষের মধ্যে বিকাশের পার্থক্য আছে। বালিকারা বালকদের থেকে অনেক আগে পরিণত হয়। বালিকাদের বয়ঃসন্ধিক্ষণ বালকদের থেকে অনেক আগে আসে।

(খ/i) বিকাশের নীতি –

(a) বিকাশ হল মিথস্ক্রিয়ার ফল।
(b) বংশগতি ও পরিবেশের মিথস্ক্রিয়ার ফলেই বিকাশ ঘটে।
(c) বিকাশ ধারাবাহিকতা মেনে চলে।
(d) বিকাশ ওপর দিকে অর্থাৎ মস্তিষ্ক শুরু হয়ে নীচের দিকে অর্থাৎ পায়ের দিকে ঘটে।
(e) বিকাশ কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে অগ্রসর হয়।
(f) বিকাশের ফলে যে চলন ঘটে তার ধারাবাহিকতা বিশ্বের সব শিশুর ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যেমন-হামাগুড়ি, দাঁড়ানো, হাঁটা।
(g) বিকাশ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
(h) বিকাশ ভবিষ্যদ্বাণীর নীতি।
(i) বিকাশ সরল রৈখিক বনাম স্পাইরাল নীতি অনুযায়ী ঘটে।

 

(৪) বৃদ্ধি এবং বিকাশের মধ্যে পার্থক্য কি ?

 
 

 

 
 

(৫) পরিণমন কাকে বলে এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করো ?

 

শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সে থাকে অসহায়, অপরিণত ও কর্মদক্ষতাহীন। ধীরে ধীরে তার বিকাশ ঘটে। এই বিকাশ বহুমুখী ও সামগ্রিক এই বিকাশ বিভিন্ন দিক থেকে হয়, যেমন– দৈহিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, প্রাক্ষোভিক বিকাশ ইত্যাদি। বিভিন্ন দিকের বিকাশের ফলে ওই শিশু একদিন পূর্ণাঙ্গ, কর্মক্ষম ও সুবিকশিত সত্তায় পরিণত হয়। শিশুর আচরণধারারও নানান পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মে হয়।

(ক) পরিণমনের সংজ্ঞা –

পরিণমন একটি অভ্যন্তরীণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির মধ্যে সংঘটিত হয় কোনাে বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাব ছাড়াই। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বিকাশ প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়, তাকে পরিণমন বলে।

(i) মনােবিদ গেসেলর মতে, স্বিকীয় ও অন্তর্জাত বৃদ্ধি হল পরিণমন। মনােবিদ কোলেনসিক-এর মতে, জন্মগত সম্ভাবনাগুলি স্বাভাবিকভাবে প্রস্ফুটিত হওয়ার ফলে শিশুর আচরণের গুণগত এবং পরিমাণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়াই হল পরিণমন।

(ii) থম্পসনের মতে, পরিণমন প্রক্রিয়া হল একটি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশু একজন পরিণত মানুষরূপে গড়ে ওঠে।

(iii) মনােবিদ স্কিনারের মতে, পরিণমন হল একধরনের বিকাশ, যা পরিবেশগত অবস্থার ব্যাপক তারতম্য থাকলেও মােটামুটিভাবে নিয়মমাফিক সংঘটিত হয়।

(খ) পরিণমনের বৈশিষ্ট্য –

পরিণমনের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে এর কতকগুলি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। সেগুলি হল 一

(i) বিকাশের প্রক্রিয়া: পরিণমন বলতে কোনাে বিশেষ আচরণ সম্পাদনের ক্ষমতাকে বােঝায় না পরিণমন হল ব্যক্তি বা শিশুর এমন এক বিকাশ প্রক্রিয়া, যার দ্বারা তার আচরণগত পরিবর্তন আসে এবং নতুন নতুন কর্মদক্ষতা সৃষ্টি হয়।

(ii) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া: পরিণমন কোনাে শর্তসাপেক্ষ প্রক্রিয়া নয়। উদ্দীপক পরিস্থিতির বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই পরিণমন শিশুর মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে সংঘটিত হয়। তাই পরিণমনকে স্বাভাবিক বিকাশের প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

(iii) অচেষ্ট প্রক্রিয়া: পরিণমনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যক্তির চেষ্টার কোনাে প্রয়ােজন হয় না। পরিণমন ব্যক্তির অজান্তেই ঘটে থাকে। যেমন— কাঁচা আম গাছে থাকতে থাকতে স্বাভাবিক নিয়মে পেকে যায়। পাকানাের জন্য আম পেড়ে ঘরে গরমের মধ্যে না রাখলেও চলে। একইভাবে স্বাভাবিক নিয়মে ব্যক্তিজীবনেও পরিপক্কতা আসে।

(iv) প্রশিক্ষণনির্ভর নয়: পরিণমনের জন্য কোনােপ্রকার প্রশিক্ষণের প্রয়ােজন হয় না। এমনকি এই প্রক্রিয়া ব্যক্তি বা সমাজের ইচ্ছা, অবস্থা কোনাে কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়।

(v) চাহিদানির্ভর নয়: পরিণমন ব্যক্তি বা সমাজের চাহিদার উপর নির্ভরশীল প্রক্রিয়া নয়। অর্থাৎব্যক্তির চাহিদা না থাকলেও পরিণমন সংঘটিত হয়। তবে পরিণমন বা পরিণমনজনিত বিভিন্ন পরিবর্তন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের চাহিদাকে পরিতৃপ্ত করতে সাহায্য করে।

(vi) সহজাত প্রবণতার উপর নির্ভরশীল: জন্মসূত্রে প্রাপ্ত সম্ভাবনাগুলির বিকাশের উপর পরিণমন নির্ভরশীল। কারণ বহিঃপরিবেশ ব্যক্তির পরিণমনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

(vii) স্বাভাবিক দক্ষতা অর্জনে সহায়ক: পরিণমনের ফলে ব্যক্তির শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ব্যক্তি সহজেই কোনাে বিশেষ দক্ষতা অর্জনে সমর্থ হয়।

(viii) নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক প্রক্রিয়া: পরিণমন জীবনের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে শুরু হয় এবং একটি বিশেষ পর্যায়ে শেষ হয়। তাই পরিণমনকে জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া বলা যায় না। বিভিন্ন ব্যক্তির পরিণমন বিভিন্ন পর্যায়ে শুরু হয় এবং বিভিন্ন পর্যায়ে শেষ হয়।

(xi) জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া: পরিণমন নির্ভর করে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ জৈবিক কেন্দ্রগুলির স্বাভাবিক বিকাশের উপর। বাস্তবে দেখা গেছে ব্যক্তির জৈবিক কেন্দ্রের বিকাশে কোনাে ব্যাঘাত ঘটলে তার পরিণমনও ত্রুটিপূর্ণ হয়।

(x) বৃদ্ধির সঙ্গে সমার্থক: পরিণমন একপ্রকার বিকাশের প্রক্রিয়া যা বৃদ্ধির সঙ্গে সমার্থক।

আরও পড়ুন :

শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ (Unit – 02) – Click Here
শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ (Unit – 03) – Click Here
শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ (Unit – 04) – Click Here
---Advertisement---

Related Post

World Famous Statues List PDF 2025 l বিশ্বের বিখ্যাত স্ট্যাচু তালিকা PDF 2025

World Famous Statues List PDF 2025: বিভিন্ন সরকারি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় (WBCS, SSC, UPSC, Railways, Banking, PSC) বিশ্বের বিখ্যাত স্ট্যাচু সম্পর্কিত প্রশ্ন প্রায়ই আসে। তাই পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে, ...

West Bengal GK Questions And Answers l পশ্চিমবঙ্গ জিকে প্রশ্নোত্তর l পশ্চিমবঙ্গের জেনারেল নলেজ

West Bengal GK Questions And Answers: পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জ্ঞান (West Bengal General Knowledge) বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় (WBCS, WBPSC, SSC, Railways, Police, Group-D) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরীক্ষায় ...

Download Important Law Of The British Period PDF l ব্রিটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ন আইন PDF

Download Important Law Of The British Period PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় (WBCS, SSC, Railways, UPSC, PSC, Banking) ব্রিটিশ আমলের গুরুত্বপূর্ন আইন সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। তাই পরীক্ষার্থীদের ...

Important History GK Questions and Answers 2025 l গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস জিকে প্রশ্নোত্তর

Important History GK Questions and Answers 2025: সাধারণ জ্ঞান (জিকে) প্রতিটি চাকরির পরীক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাকরির পরীক্ষায় সফল হতে হলে সাধারণ জ্ঞানের উপর সঠিক জ্ঞান রাখা ...

2 thoughts on “শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ Unit – 01 | Growth, Development and Maturation in Bengali Notes | Child Development and Pedagogy for WB Primary TET, CTET, WBSSC TET & Others STET Exam Preparation in 2023”

Leave a Comment