---Advertisement---

সন্ধি বিচ্ছেদ | বাংলা ব্যাকরণ l Bengali Grammar l বাংলা সন্ধি বিচ্ছেদ

By Siksakul

Updated on:

বাংলা সন্ধি বিচ্ছেদ
---Advertisement---

বাংলা সন্ধি বিচ্ছেদ, বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যা আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়। দ্রুত উচ্চারণের কারণে কাছাকাছি থাকা দুটি পদের সন্নিহিত বর্ণদ্বয় মিলিত হয়ে শব্দদুটির মধ্যেও মিলন ঘটায় এবং একটি নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি হয়। একাধিক বর্ণের এই মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন— হিম + আলয় =”হিমালয়” শব্দটির যেমন একটি অর্থ রয়েছে (পর্বত শ্রেণির নাম), আবার ‘হিম’ অর্থ—ঠান্ডা বা শীতল, ‘আলয় অর্থ’—ঘর/গৃহ অর্থাৎ দুটি আলাদা অর্থপূর্ণ শব্দ একসঙ্গে মিশে একটা নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি হচ্ছে। বাংলা ব্যাকরণে এই মিলনই সন্ধি (হিম + আলয় = হিমালয়)।

সন্ধি বিচ্ছেদ | বাংলা ব্যাকরণ l বাংলা সন্ধি বিচ্ছেদ l sondhi bicched in bengali

⏪ সন্ধি বিচ্ছেদ ⏩

✦ সন্ধি

দ্রুত উচ্চারণের কারণে কাছাকাছি থাকা দুটি পদের সন্নিহিত বর্ণদ্বয় মিলিত হয়ে শব্দদুটির মধ্যেও মিলন ঘটায় এবং একটি নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি হয়। একাধিক বর্ণের এই মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন— হিম + আলয় =”হিমালয়” শব্দটির যেমন একটি অর্থ রয়েছে (পর্বত শ্রেণির নাম), আবার ‘হিম’ অর্থ—ঠান্ডা বা শীতল, ‘আলয় অর্থ’—ঘর/গৃহ অর্থাৎ দুটি আলাদা অর্থপূর্ণ শব্দ একসঙ্গে মিশে একটা নতুন অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি হচ্ছে। বাংলা ব্যাকরণে এই মিলনই সন্ধি (হিম + আলয় = হিমালয়)।

সন্ধির প্রকারভেদ

সন্ধি প্রধানত তিন প্রকার—স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি।

স্বরসন্ধি

একটি স্বরবর্ণের সঙ্গে আর-একটি স্বরবর্ণের মিলনকে বলা হয় স্বরসন্ধি। যেমন— নব + অন্ন =নবান্ন, রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র, পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা, দেব + আলয় = দেবালয়।

উদাহরণসহ স্বরসন্ধির কিছু নিয়ম

⏩অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘অ’ কিংবা ‘আ’ থাকলে উভয়ে মিলে আ-কার হয়। ওই আকার পূর্ববর্ণেযুক্ত হয়।

⚫ অ + অ = আ ⚫

নীল + অম্বর = নীলাম্বরঅপর + অহ্ন = অপরাহ্ননব + অন্ন = নবান্ন
রক্ত + অক্ত = রক্তাক্তচর + অচর = চরাচরস্ব + অধীন = স্বাধীন
হিম + অদ্রি = হিমাদ্রিপর + অধীন = পরাধীনবেদ + অন্ত = বেদান্ত
গ্রাম + অঞ্চল = গ্রামাঞ্চলপুষ্প + অঞ্জলি = পুস্পাঞ্জলিউত্তর + অধিকার = উত্তরাধিকার

⚫ অ + আ = আ ⚫

গ্রন্থ + আগার = গ্রন্থাগারপদ্ম + আসন = পদ্মাসনহিম + আলয় = হিমালয়
চরণ + আশ্রিত = চরণাশ্রিতদশ + আনন = দশাননস্নেহ + আশিস = স্নেহাশিস
সিংহ + আসন = সিংহাসনদূর + আগত = দূরাগতদেব + আলয় = দেবালয়
শােক + আবেগ = শােকাবেগপদ + আনত = পদানতবিবেক + আনন্দ = বিবেকানন্দ

⚫ আ + অ = আ ⚫

আশা + অতীত = আশাতীতপূজা + অবকাশ = পূজাবকাশকথা + অন্তর = কথান্তর
ঈর্ষা + অন্বিত = ঈর্ষান্বিতভাষা + অন্তর = ভাষান্তরবিদ্যা + অর্জন = বিদ্যার্জন
শিক্ষা + অনুরাগ = শিক্ষানুরাগবিদ্যা + অভ্যাস = বিদ্যাভ্যাসপূজা + অর্চনা = পূজার্চনা

⚫ আ + আ = আ ⚫

মহা + আকাশ = মহাকাশসদা + আনন্দ = সদানন্দবিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়
প্রতিজ্ঞা + আবদ্ধ = প্রতিজ্ঞাবদ্ধশিক্ষা + আয়তন = শিক্ষায়তনসন্ধ্যা + আরতি = সন্ধ্যারতি
মহা + আশয় = মহাশয়তন্দ্রা + আচ্ছন্ন = তন্দ্রাচ্ছন্নআশা + আহত = আশাহত

ই-কার কিংবা ঈ-কারের পর ‘ই’ কিংবা ‘ঈ’ থাকলে উভয়ে মিলে ঈ-কার হয়। ওই ঈ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। ⚫ ই + ই = ঈ ⚫

রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্রঅভি + ইষ্ট = অভীষ্টঅতি + ইব = অতীব
অতি + ইত = অতীতপ্রতি + ইতি = প্রতীতিঅতি + ইন্দ্রিয় = অতীন্দ্রিয়

⚫ ই + ঈ = ঈ ⚫

পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষাগিরি + ঈশ = গিরীশপ্রতি + ঈক্ষা = প্রতীক্ষা
ক্ষিতি + ঈশ = ক্ষিতীশঅভি + ঈক্ষা = অভীক্ষাঅধি + ঈশ্বর = অধীশ্বর

⚫ ঈ + ই = ঈ ⚫

রথী + ইন্দ্র = রথীন্দ্রসুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
যতী + ইন্দ্র = যতীন্দ্রশচী + ইন্দ্র = শচীন্দ্র

⚫ ঈ + ঈ = ঈ ⚫

যতী + ঈশ = যতীশমহী + ঈশ্বর = মহীশ্বর
শচী + ঈশ = শচীশপৃথ্বী + ঈশ = পৃথ্বীশ

উ-কার কিংবা ‘উ’কারের পর ‘উ’কার কিংবা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ-কার হয়, ‘ঊ’-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় :

আরো পড়ুন: জীবন বিজ্ঞান MCQ Set

⚫ উ + উ = ঊ ⚫

কটু + উক্তি = কটুক্তিসু + উক্ত = সূক্ত
মরু + উদ্যান = মরূদ্যানমৃত্যু + উত্তীর্ণ = মৃত্যুত্তীর্ণ

⚫ উ + ঊ = ঊ ⚫

লঘু + উর্মি = লঘুর্মিঅনু + উর্ধ্ব = অনূর্ধ্ব

⚫ ঊ + উ = ঊ ⚫

বধু + উদয় = বধূদয়বধূ + উৎসব = বধূৎসব

⚫ ঊ + ঊ = ঊ ⚫

ভূ + উর্ধ্ব = ভূর্ধ্বসরযু + উর্মি = সরযূর্মি

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘ই’কার কিংবা ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে এ-কার হয়। এ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় :

⚫ অ + ই = এ ⚫

স্ব + ইচ্ছা = স্বেচ্ছাবল + ইন্দ্র = বলেন্দ্র
পূর্ণ + ইন্দু = পূর্ণেন্দুদেব + ইন্দ্র = দেবেন্দ্র

⚫ অ + ঈ = এ ⚫

অপ + ঈক্ষা = অপেক্ষাভব + ঈশ = ভবেশহৃষীক + ঈশ = হৃষীকেশ
গণ + ঈশ = গণেশরাজ্য + ঈশ্বর = রাজ্যেশ্বরদেব + ঈশ = দেবেশ

⚫ আ + ই = এ ⚫

যথা + ইষ্ট = যথেষ্টসুধা + ইন্দু = সুধেন্দু
মহা + ইন্দ্র = মহেন্দ্ররসনা + ইন্দ্রিয় = রসনেন্দ্রিয়

⚫ আ + ঈ = এ ⚫

রমা + ঈশ = রমেশকমলা + ঈশ = কমলেশ
উমা + ঈশ = উমেশমহা + ঈশ্বর = মহেশ্বর

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘উ’ কিংবা ‘ঊ’ থাকলে উভয়ে মিলে ও-কার হয়। ও-কার পূর্ববর্গে যুক্ত হয় : ⚫ অ + উ = ও ⚫

সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়স্নাতক + উত্তর = স্নাতকোত্তরপুষ্প + উদ্যান = পুষ্পোদ্যান
সময় + উপযােগী = সময়ােপযােগীসর্ব + উত্তম = সর্বোত্তমসর্ব + উচ্চ = সর্বোচ্চ

⚫ অ + ঊ = ও ⚫

নব + ঊঢ়া = নবােঢ়াচঞ্চল + উর্মি = চঞ্চলোর্মি
এক + ঊনবিংশতি = একোনবিংশতিপর্বত + ঊর্ধ্বে = পর্বতোের্ধ্বে

⚫ আ + উ = ও ⚫

মহা + উপকার = মহোপকারযথা + উচিত = যথােচিত
কথা + উপকথন = কথােপকথনদুর্গা + উৎসব = দুর্গোৎসব

⚫ আ + ঊ = ও ⚫

মহা + উর্মি = মহাের্মিগঙ্গা + উর্মি = গঙ্গোর্মি

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘ঋ’ থাকলে উভয়ে মিলে ‘অর’ হয়। ‘অর’ এর ‘অ’ পূৰ্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং “র’ রেফ্ হয়ে পরবর্ণের মাথায় বসে।

Read Also: 100+ Geometry Questions and Answers in Bengali

⚫ অ + ঋ = অর ⚫

দেব + ঋষি =  দেবর্ষিবিপ্র + ঋষি = বিপ্রর্ষি
যুগ + ঋষি = যুগর্ষিউত্তম + ঋণ = উত্তমর্ণ

⚫ আ + ঋ = অর ⚫

মহা + ঋষি = মহর্ষিরাজা + ঋষি = রাজর্ষি

কিন্তু অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘ঋত’ (পীড়িত বা কাতর) থাকলে উভয়ে মিলে ‘আর’ হয় ; ‘আর’-এর ‘আ’ পূৰ্ববর্ণে যুক্ত হয় : এবং ‘র’ রেফ হয়ে পরবর্ণের মাথায় বসে ।

⚫ অ + ঋত = আর্ত ⚫

শীত + ঋত = শীতার্তভয় + ঋত = ভয়ার্ত
দুঃখ + ঋত = দুঃখার্তশোক + ঋত = শােকার্ত

⚫ আ + ঋত = আর্ত ⚫

পিপাসা + ঋত = পিপাসার্ততৃয়া + ঋত = তৃয়ার্ত
ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্তবেদনা + ঋত = বেদনার্ত

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘এ’ কিংবা ‘ঐ’ থাকলে উভয়ে মিলে ঐ-কার হয়। ঐ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। ⚫ অ + এ = ঐ ⚫

জন + এক = জনৈকহিত + এষী = হিতৈষী
সর্ব + এব = সর্বৈবহিত + এষণা = হিতৈষণা

⚫ অ + ঐ = ঐ ⚫

মত + ঐক্য = মতৈক্যবিত্ত + ঐশ্বর্য = বিত্তৈশ্বর্য
চিত্ত + ঐশ্বর্য = চিত্তৈশ্বর্যপরম + ঐশ্বর্য = পরমৈশ্বর্য

⚫ আ + এ = ঐ ⚫

তথা + এব = তথৈবসদা + এব = সদৈবতথা + এবচ = তথৈবচ

⚫ আ + এ = ঐ ⚫

মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্যমহা + ঐরাবত = মহৈরাবত

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ‘ও’ কিংবা ‘ঔ’ থাকলে উভয়ে মিলে ঔ-কার হয়। ঔ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় : ⚫ অ + ও = ঔ ⚫

বন + ওষধি = বনৌষধিজল + ওকা = জলৌকা

⚫ অ + ঔ = ঔ ⚫

পরম + ঔষধ = পরমৌষধচিত্ত + ঔদার্য = চিত্তেীদার্য

⚫ আ + ও = ঔ ⚫

মহা + ওষধি = মহৌষধি

⚫ আ + ঔ = ঔ ⚫

মহা + ঔদার্য = মহৌদার্যমহা + ঔৎসুক্য = মহৌৎসুক্য

ই-কার বা ঈ-কারের পর ‘ই’ বা ‘ঈ’ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ থাকলে আগের ই-ঈ-র জায়গায় ‘য্’ (য-ফলা) হয় ; এই য-ফলা পূৰ্বর্ণে যুক্ত হয় এবং পরের স্বর য-ফলাতে ( ্য-তে) যুক্ত হয় ।

⚫ ই + অ = য (  ্য ) ⚫

অতি + অন্ত = অত্যন্তঅনুমতি + অনুসারে = অনুমতানুসারে
অধি + অয়ন = অধ্যয়নগতি + অন্তর = গত্যন্তর

⚫ ই + অ = য ( ্যা ) ⚫

অতি + আচার = অত্যাচারপ্রতি + আখ্যান = প্রত্যাখ্যানপ্রতি + আগমন = প্রত্যাগমন
ইতি + আদি = ইত্যাদিঅভি + আগত = অভ্যাগতপ্রতি + আবর্তন = প্রত্যাবর্তন

⚫ ই + উ = যু (  ্যু ) ⚫

প্রতি + উপকার = প্রত্যুপকারঅভি + উত্থান = অভ্যুত্থানঅধি + উষিত = অধ্যুষিত
প্রতি + উত্তর = প্রত্যুত্তরঅভি + উদয় = অভ্যুদয় 

⚫ ই + ঊ = যু (  ্যূ ) ⚫

প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ

⚫ ই + এ = যে (  ্যে ) ⚫

প্রতি + এক = প্রত্যেক

⚫ ই + ঐ = যে (  ৈ ্য ) ⚫

অতি + ঐশ্বর্য = অত্যৈশ্বর্য

⚫ ঈ + অ = য (  ্য ) ⚫

নদী + অম্বু = নদ্যম্বু

য্ যদি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন র্-এর সঙ্গে যুক্ত হয় তখন আর ”  ্য “ফলা না-হয়ে ‘য্’ নিজের রূপেই থাকে ; আর পূর্ববর্তী ‘র’ রেফ্ হয়ে য্-এর মাথায় বসে এবং পরবর্তী স্বর য্-কারে যুক্ত হয় ।

পরি + অটন = পর্যটনপরি + অটক = পর্যটকপরি + অন্ত = পর্যন্ত
পরি + আপ্ত = পর্যাপ্তপরি + অবেক্ষণ = পর্যবেক্ষণপরি + আলােচনা = পর্যালােচনা

উ-কার কিংবা ঊ-কারের পর ‘উ’ বা ঊ’ ছাড়া অন্য স্বর থাকলে উ-কার বা ঊ-কারের স্থানে ‘ব” (ব-ফলা) হয়। সেই ব-ফলা পূৰ্বৰ্বর্ণে যুক্ত হয় এবং পরের স্বর ব-ফলায় যুক্ত হয় :

⚫ উ + অ = ব ⚫

অনু + অয় = অন্বয়সু + অচ্ছ = স্বচ্ছমনু + অন্তর = মন্বন্তর
সু + অল্প = স্বল্পসু + অস্তি = স্বস্তি 

⚫ উ + আ = বা ⚫

সু + আগত = স্বাগতপশু + আচার = পশ্বাচার

⚫ উ + ই = বি ⚫

অনু + ইত = অন্বিত

⚫ উ + এ = বে ⚫

অনু + এষণ = অন্বেষণ

ঋ-কারের পর ‘ঋ’ ছাড়া অন্য স্বর থাকলে ঋ-কারের স্থানে ‘র্’ (র-ফলা) হয়। ‘র্’ পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় এবং পরের স্বর র-কারে যুক্ত হয় :

⚫ ঋ + অ = র-ফলা + অ ⚫

পিতৃ + অনুমতি = পিত্ৰনুমতি

⚫ ঋ + আ = র-ফলা + আ ⚫

মাতৃ + আদেশ = মাত্রাদেশপিতৃ + আলয় = পিত্রালয়

এ-কার, ঐ-কার, ও-কার, ঔ-কারের পর স্বরবর্ণ থাকলে এ-কারের স্থানে ‘অয়্’, ঐ-কারের স্থানে ‘আয়্’, ও-কারের স্থানে ‘অব্’, ঔ-কারের থানে ‘আব্’ হয়। পরের স্বর এই অয়্, আয়্, অব্, আব্-এর সঙ্গে যুক্ত হয় :

⚫ এ + অ ⚫

নে + অন = নয়নশে + অন = শয়ন

⚫ ঐ + অ ⚫

গৈ + অক = গায়কনৈ + অক = নায়ক

⚫ ও + অ ⚫

ভো + অন = ভবনপাে + অন = পবন

⚫ ও + আ ⚫

গাে + আদি = গবাদিগো + আলয় = গবালয়

⚫ ও + এ ⚫

গাে + এষণা = গবেষণা

⚫ ঔ + অ ⚫

পৌ + অক = পাবকদ্রৌ + অক = দ্রাবক

⚫ ও + ই ⚫

পাে + ইত্র = পবিত্র

⚫ ঔ + ই ⚫

নৌ + ইক = নাবিক

⚫ ঔ + উ ⚫

ভৌ + উক = ভাবুক

নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি : স্বরসন্ধির সূত্র না-মেনে যেসব সন্ধিবদ্ধ পদ তৈরি হয়, তাদের নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি বলে। যেমন— সম + অর্থ = সমর্থ, গাে + অক্ষ = গবাক্ষ, প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ়।

ব্যঞ্জনসন্ধি

ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির কিংবা স্বরধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে-সন্ধি গঠিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। যেমন— জগৎ + জননী = জগজ্জননী।

উদাহরণসহ ব্যঞ্জনসন্ধির কিছু নিয়ম

⏩ স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ পরে থাকলে পদের শেষে অবস্থিত বর্গের প্রথম বর্ণের জায়গায় সেই বর্গের তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন—জগৎ + ঈশ = জগদীশ, ষট্ + আনন = ষড়ানন, দিক্ + দাহ = দিগ্‌দাহ, তৎ + অন্ত = তদন্ত ইত্যাদি। ব্যতিক্রম বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ এবং শ, ষ, স পরে থাকলে হয় না। যেমন—বিপৎ + পাত = বিপৎপাত, দিক্ + পতি = দিপতি ইত্যাদি।

⏩ বর্গের পঞ্চম বর্ণের আগে যদি প্রথম বর্ণ থাকে তবে এই প্রথম বর্ণের স্থানে বর্গের পঞ্চম বর্ণ হয়। যেমন— বাক্ + ময় = বাঙ্ময়, জগৎ + নাথ = জগন্নাথ, চিৎ + ময় = চিন্ময় ইত্যাদি।

⏩ বর্গের পঞ্চম বর্ণের পরে হকার থাকলে, হ-এর জায়গায় ওই বর্গের চতুর্থ বর্ণ হয়। যেমন—উৎ + হত = উদ্ধত, তৎ + হিত = তদ্ধিত ইত্যাদি।

⏩ ল, চ ও ট বর্গের আগে ত-বর্গের কোনাে বর্ণ থাকলে, ত-বর্গের জায়গায় পররূপ অর্থাৎ পরে যে-বর্ণ থাকে সেই বর্ণ হয় এবং পূর্ববর্তী দ্বিতীয় বর্ণের জায়গায় প্রথম ও চতুর্থ বর্ণের জায়গায় তৃতীয় বর্ণ হয়। যেমন— উৎ + লাস = উল্লাস, উৎ + লেখ = উল্লেখ, উৎ + ছিন্ন = উচ্ছিন্ন (পূর্ববর্তী ছ-এর জায়গায় চ), কুৎ + ঝটিকা = কুজ্ঝটিকা (পূর্ববর্তী ঝ-এর জায়গায় জ)।

⏩ শ-কারের পরে ত্ ও দ্ থাকলে ওই জায়গায় চ্ এবং শ্ এর জায়গায় ছ্ হয়। যেমন—উৎ + শৃঙ্খল = উছশৃঙ্খল।

⏩ চ-কার ও জ-কারের পরে ন্ থাকলে -এর জায়গায় ঞ হয়। যেমন— যাচ্ + না = যাজ্ঞা, রাজ্ + নী = রাজ্ঞী, যজ্ + ন = যজ্ঞ ইত্যাদি।

⏩ ষ্-কারের পরে ত্ বা থ্ বর্গের কোনাে বর্ণ থাকলে ত্-এর জায়গায় ট্ বর্গ এবং থ্-এর জায়গায় ঠ্ বর্গ । হয়। যেমন—উৎকৃষ্ + ত = উৎকৃষ্ট, ষষ্ + থ = ষষ্ঠ।

⏩ স্বরবর্ণের পরে ছ থাকলে, ছ-এর জায়গায় চ্ছ হয়। যেমন—আ + ছাদন = আচ্ছাদন, বি + ছেদ = বিচ্ছেদ ইত্যাদি।

⏩ ব্যঞ্জনবর্ণের আগে ম্ থাকলে, ম-এর জায়গায় অনুস্বর হয়। যেমন—সম্ + বাদ = সংবাদ, সম্ + যােগ = সংযােগ ইত্যাদি। ব্যতিক্রম— সম্ + রাজ্ = সম্রাজ্।

⏩ বর্গের কোনাে বর্ণ পরে থাকলে পদের শেষে অবস্থিত ম্ বা অনুস্বর-এর জায়গায় সেই বর্গের পঞ্চম বর্ণ হয়। যেমন—শম্ + কর = শঙ্কর, সম্ + দর্শন = সন্দর্শন ইত্যাদি।

⏩ বর্গের কোনাে বর্ণ পরে থাকলে পদের মধ্যে অবস্থিত ন্-এর জায়গায় সেই বর্গের পঞ্চম বর্ণ হয়। যেমন- শন্ +কা = শঙ্কা, কন্ + পন = কম্পন ইত্যাদি। ব্যতিক্রম—বর্গের পঞ্চম বর্ণ পরে থাকলে এই নিয়ম প্রযুক্ত হয় না।

⏩ উষ্মবর্ণ পরে থাকলে পদের মধ্যে অবস্থিত ন্-এর জায়গায় অনুস্বর হয়। যেমন—হিন্ + সা = হিংসা, দন্ + শন্ = দংশন ইত্যাদি।

⏩ চ বা ছ পরে থাকলে বিসর্গ বর্ণের জায়গায় শ হয়। যেমন— নিঃ + চয় = নিশ্চয়, শিরঃ + ছেদ = শিরচ্ছেদ ইত্যাদি।

⏩ ট বা ঠ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে ষ্ হয়। যেমন—ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার।

⏩ ত বা থ পরে থাকলে বিসর্গ স্থানে স্ হয়। যেমন—মনঃ + তাপ = মনস্তাপ, নিঃ + তার = নিস্তার ইত্যাদি।

⏩ আকার ও ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে বিসর্গ থাকলে সেই স্থানে উ হয়, অর্থাৎ ব্যঞ্জনবর্ণ পরে থাকলে আকারের | পরবতী বিসর্গ-এর জায়গায় উ হয়। যেমন—মনঃ + যােগ = মনােযােগ, যশঃ + লাভ = যশােলাভ, সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত ইত্যাদি।

⏩ অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ এবং স্বরব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে বিসর্গ-এর জায়গায় র্ হয়। অর্থাৎ সমস্ত স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণ। পরে থাকলে অ, আ ভিন্ন স্বরের পরে অবস্থিত বিসর্গ-এর জায়গায় র হয়। যেমন—নিঃ + অন্তর = নিরন্তর, দুঃ + গতি = দুর্গতি ইত্যাদি। ব্যতিক্রম—বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ এবং শ, ষ, স পরে থাকলে এই নিয়ম প্রযুক্ত হয় না।

⏩ ক, প বা ফ পরে থাকলে অ আ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণের পরে অবস্থিত বিসর্গ-এর জায়গায় ষ্ হয়। যেমন- নিঃ + কাম = নিষ্কাম, আবিঃ + কৃত = আবিষ্কৃত।

⏩ র পরে থাকলে বিসর্গ-এর জায়গায় যে র হয় তা লােপ পায় এবং বিসর্গ-এর আগের স্বর দীর্ঘ হয়। যেমন- নিঃ + রস = নীরস, নিঃ + রব = নীরব ইত্যাদি।

⏩ অ ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ পরে থাকলে আকারের পরে অবস্থিত বিসর্গ লােপ পায়। যেমন—অতঃ + এব = অতএব ।

নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি : ব্যঞ্জনসন্ধির সূত্র না-মেনে যেসব সন্ধিবদ্ধ পদ তৈরি হয়, তাদের নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।

তদ্ + কর = তস্করউৎ + স্থান = উত্থানএক + দশ = একাদশ
ষট্ + দশ = ষােড়শআ + চর্য = আশ্চর্যদিব্ + লােক = দ্যুলোক
আ + পদ = আম্পদপতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলিগাে + পদ = গোষ্পদ
হিন্স্ + অ = সিংহবন + পতি = বনস্পতিপুম্স্ + লিঙ্গ = পুংলিঙ্গ
পর + পর = পরস্পরমনস্ + ঈষা = মনীষাবৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি
বিশ্ব + মিত্র = বিশ্বামিত্রহরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্রপ্রায় + চিত্ত = প্রায়শ্চিত্ত

বিসর্গসন্ধি

বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ আছে যাদের শেষে বিসর্গ (ঃ) যুক্ত হয়, এই বিসর্গের সঙ্গে কোনাে ব্যঞ্জনবর্ণ বা স্বরবর্ণ মিলে যে-সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন—নিঃ + চল = নিশ্চল, তেজঃ + ময় = তেজোময়, বয়ঃ + বৃদ্ধি = বয়ােবৃদ্ধি, মনঃ + গত = মনােগত, পুরঃ + ভাগ = পুরোভাগ ইত্যাদি।

উদাহরণসহ বিসর্গসন্ধির কিছু নিয়ম

⏩ বিসর্গের পর চ্ বা ছ্ থাকলে বিসর্গের স্থানে শ্ হয়। যেমন— শিরঃ + চুম্বন = শিরম্বন, দুঃ + চিন্তা = দুশ্চিন্তা, শিরঃ + ছেদ = শিরচ্ছেদ ইত্যাদি।

পূর্বপদের শেষে যদি র্-জাত বিসর্গ থাকে ও পরপদের প্রথমে র্ থাকে, তাহলে বিসর্গের লােপ হয় এবং বিসর্গের পূর্ববর্তী স্বরবর্ণটি দীর্ঘ হয়। অর্থাৎ অ-স্থানে আ, ই-স্থানে ঈ, উ-স্থানে র্ঊ হয়। যেমন—নিঃ + রব = নীরব, স্বঃ + রাজ্য = স্বরাজ্য, চক্ষুঃ + রােগ = চক্ষুরোগ ইত্যাদি।

পরপদের প্রথমে স্ত, স্থ, স্প থাকলে পূর্বপদের শেষে অবস্থিত বিসর্গ বিকল্পে লুপ্ত হয়। যেমন—বক্ষঃ + স্থল = বক্ষঃস্থল, বক্ষস্থল, নিঃ + স্পন্দ = নিঃস্পন্দ, নিস্পন্দ ইত্যাদি।

বিসর্গের পরে ট্ কিংবা ঠ্ থাকলে বিসর্গের স্থানে ষ্ হয়। যেমন—চতুঃ + টয় = চতুষ্টয়, ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার ইত্যাদি।

বিসর্গের পরে ত্ কিংবা থ্ থাকলে বিসর্গের স্থানে স্ হয়। যেমন—ইতঃ + ততঃ = ইতস্তত, নভঃ + তল = নভস্তল, দুঃ + তর = দুস্তর ইত্যাদি।

সংস্কৃত সন্ধির কয়েকটি ক্ষেত্রে বিসর্গ অক্ষুন্ন থাকে। যেমন—স্রোতঃ + পথ = স্রোতঃপথ, শিরঃ + পীড়া = শিরঃপীড়া, স্বতঃ + প্রবৃত্ত = স্বতঃপ্রবৃত্ত ইত্যাদি।

পূর্বপদের শেষে যদি অ-কারের পর বিসর্গ থাকে এবং পরপদের প্রথমে যদি অ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ থাকে তাহলে বিসর্গের লােপ হয়। বিসর্গ লােপের পর আর সন্ধি হয় না। যেমন—অতঃ + এব = অতএব, বক্ষঃ + উপরি = বক্ষ-উপরি (বক্ষোপরি) ইত্যাদি।

অ-কার কিংবা আ-কারের পর বিসর্গ থাকলে এবং পরপদের প্রথম বর্ণ ক্, খ্, প্, ফ্-এর যে-কোনাে একটি হলে বিসর্গের স্থানে স্ হয়। যেমন—পুরঃ + কার = পুরস্কার, ভাঃ + কর = ভাস্কর, নমঃ + কার = নমস্কার ইত্যাদি। নিপাতনে সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি : গীঃ + পতি = গীস্পতি, অহঃ + রাত্র = অহােরাত্র ইত্যাদি।

Read Also সমাস | বাংলা ব্যাকরণ

সন্ধি বিচ্ছেদের উদাহরণ

  1. অধ্যুষিত সন্ধি বিচ্ছেদ : অধি + উষিত = অধ্যুষিত
  2. অত্যাচার সন্ধি বিচ্ছেদ : অতি + আচার = অত্যাচার
  3. অন্বিত সন্ধি বিচ্ছেদ : অনু + ইত = অন্বিত
  4. অপরাহ্ন সন্ধি বিচ্ছেদ : অপর + অহ্ন = অপরাহ্ন
  5. অপেক্ষা সন্ধি বিচ্ছেদ : অপ + ঈক্ষা = অপেক্ষা
  6. অভীষ্ট সন্ধি বিচ্ছেদ : অভি + ইষ্ট = অভীষ্ট
  7. অন্ন সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  8. অন্বয় সন্ধি বিচ্ছেদ : অনু + অয় = অন্বয়
  9. অভ্যুত্থান সন্ধি বিচ্ছেদ : অভি + উত্থান = অভ্যুত্থান
  10. আচ্ছাদন সন্ধি বিচ্ছেদ : আ + ছাদন = আচ্ছাদন
  11. আহত সন্ধি বিচ্ছেদ : আ + হত = আহত
  12. ইতস্তত সন্ধি বিচ্ছেদ : ইতঃ + ততঃ = ইতস্তত
  13. ইত্যাদি সন্ধি বিচ্ছেদ : ইতি + আদি = ইত্যাদি
  14. ঈর্ষান্বিত সন্ধি বিচ্ছেদ : ঈর্ষা + অন্বিত = ঈর্ষান্বিত
  15. উত্তীর্ণ সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  16. উমেশ সন্ধি বিচ্ছেদ : উমা + ঈশ = উমেশ
  17. উত্থান সন্ধি বিচ্ছেদ : উৎ + স্থান = উত্থান
  18. উৎকৃষ্ট সন্ধি বিচ্ছেদ : উৎকৃষ্ + ত = উৎকৃষ্ট
  19. কটুক্তি সন্ধি বিচ্ছেদ : কটু + উক্তি = কটুক্তি
  20. কমলেশ সন্ধি বিচ্ছেদ : কমলা + ঈশ = কমলেশ
  21. কল্পনালোক সন্ধি বিচ্ছেদ : কল্পনা + আলোক = কল্পনালোক
  22. কুজ্ঝটিকা সন্ধি বিচ্ছেদ : কুৎ + ঝটিকা = কুজ্ঝটিকা (পূর্ববর্তী ঝ-এর জায়গায় জ)
  23. গত্যন্তর সন্ধি বিচ্ছেদ : গতি + অন্তর = গত্যন্তর
  24. গবাদি সন্ধি বিচ্ছেদ : গাে + আদি = গবাদি
  25. গায়ক সন্ধি বিচ্ছেদ : গৈ + অক = গায়ক
  26. গিরীশ সন্ধি বিচ্ছেদ : গিরি + ঈশ = গিরীশ
  27. চক্ষুরোগ সন্ধি বিচ্ছেদ : চক্ষুঃ + রােগ = চক্ষুরোগ
  28. চরাচর সন্ধি বিচ্ছেদ : চর + অচর = চরাচর
  29. চঞ্চল সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  30. তথৈব সন্ধি বিচ্ছেদ : তথা + এব = তথৈব
  31. তথৈবচ সন্ধি বিচ্ছেদ : তথা + এবচ = তথৈবচ
  32. তদন্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : তৎ + অন্ত = তদন্ত
  33. দশানন সন্ধি বিচ্ছেদ : দশ + আনন = দশানন
  34. দংশন সন্ধি বিচ্ছেদ : দন্ + শন্ = দংশন
  35. দ্যুলোক সন্ধি বিচ্ছেদ : দিব্ + লােক = দ্যুলোক
  36. দেবেশ সন্ধি বিচ্ছেদ : দেব + ঈশ = দেবেশ
  37. দেবর্ষি সন্ধি বিচ্ছেদ : দেব + ঋষি =  দেবর্ষি
  38. দেবালয় সন্ধি বিচ্ছেদ : দেব + আলয় = দেবালয়
  39. দুর্গতি সন্ধি বিচ্ছেদ : দুঃ + গতি = দুর্গতি
  40. দুর্গোৎসব সন্ধি বিচ্ছেদ :  দুর্গা + উৎসব = দুর্গোৎসব
  41. নদ্যম্বু সন্ধি বিচ্ছেদ : নদী + অম্বু = নদ্যম্বু
  42. নমস্কার সন্ধি বিচ্ছেদ : নমঃ + কার = নমস্কার
  43. নিস্পন্দ সন্ধি বিচ্ছেদ : নিঃ + স্পন্দ = নিস্পন্দ, নিঃস্পন্দ 
  44. নিষ্কাম সন্ধি বিচ্ছেদ : নিঃ + কাম = নিষ্কাম
  45. প্রত্যুষ সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ
  46. পর্যবেক্ষণ সন্ধি বিচ্ছেদ : পরি + অবেক্ষণ = পর্যবেক্ষণ
  47. পর্যটক সন্ধি বিচ্ছেদ : পরি + অটক = পর্যটক
  48. পর্যটন সন্ধি বিচ্ছেদ : পরি + অটন = পর্যটন
  49. পর্যাপ্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : পরি + আপ্ত = পর্যাপ্ত
  50. পরমৌষধ সন্ধি বিচ্ছেদ : পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
  51. পরাধীন সন্ধি বিচ্ছেদ : পর + অধীন = পরাধীন
  52. পশ্বাচার সন্ধি বিচ্ছেদ : পশু + আচার = পশ্বাচার
  53. প্রত্যাগমন সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রতি + আগমন = প্রত্যাগমন
  54. প্রতীতি সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রতি + ইতি = প্রতীতি
  55. প্রত্যুপকার সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রতি + উপকার = প্রত্যুপকার
  56. প্রত্যুত্তর সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রতি + উত্তর = প্রত্যুত্তর
  57. প্রায়শ্চিত্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : প্রায় + চিত্ত = প্রায়শ্চিত্ত
  58. পৃথ্বীশ সন্ধি বিচ্ছেদ : পৃথ্বী + ঈশ = পৃথ্বীশ
  59. পিপাসার্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : পিপাসা + ঋত = পিপাসার্ত
  60. পুংলিঙ্গ সন্ধি বিচ্ছেদ : পুম্স্ + লিঙ্গ = পুংলিঙ্গ
  61. প্রৌঢ় সন্ধি বিচ্ছেদ : প্র + ঊঢ় = প্রৌঢ়
  62. বাঙ্ময় সন্ধি বিচ্ছেদ : বাক্ + ময় = বাঙ্ময়
  63. ব্যাকরণ সন্ধি বিচ্ছেদ :
  64. ব্যাঘাত সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  65. বিচ্ছেদ সন্ধি বিচ্ছেদ : বি + ছেদ = বিচ্ছেদ 
  66. বিশ্বামিত্র সন্ধি বিচ্ছেদ : বিশ্ব + মিত্র = বিশ্বামিত্র
  67. ভবেশ সন্ধি বিচ্ছেদ : ভব + ঈশ = ভবেশ
  68. ভয়ার্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : ভয় + ঋত = ভয়ার্ত
  69. ভাস্কর সন্ধি বিচ্ছেদ : ভাঃ + কর = ভাস্কর
  70. ভূর্ধ্ব সন্ধি বিচ্ছেদ : ভূ + উর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব
  71. মনীষা সন্ধি বিচ্ছেদ : মনস্ + ঈষা = মনীষা
  72. মহর্ষি সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + ঋষি = মহর্ষি
  73. মহাকাশ সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + আকাশ = মহাকাশ
  74. মহাশয় সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + আশয় = মহাশয়
  75. মহীশ্বর সন্ধি বিচ্ছেদ : মহী + ঈশ্বর = মহীশ্বর
  76. মহেন্দ্র সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + ইন্দ্র = মহেন্দ্র
  77. মহৈশ্বর্য সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য
  78. মহৌদার্য সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + ঔদার্য = মহৌদার্য
  79. মহৌৎসুক্য সন্ধি বিচ্ছেদ : মহা + ঔৎসুক্য = মহৌৎসুক্য
  80. মাথায় সন্ধি বিচ্ছেদ : মাথা + আয় = মাথায়
  81. যতীন্দ্র সন্ধি বিচ্ছেদ : যতী + ইন্দ্র = যতীন্দ্র
  82. যথেষ্ট সন্ধি বিচ্ছেদ : যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট
  83. রক্তাক্ত সন্ধি বিচ্ছেদ : রক্ত + অক্ত = রক্তাক্ত
  84. শঙ্কর সন্ধি বিচ্ছেদ : শম্ + কর = শঙ্কর
  85. শঙ্কা সন্ধি বিচ্ছেদ : শন্ +কা = শঙ্কা
  86. শচীন্দ্র সন্ধি বিচ্ছেদ : শচী + ইন্দ্র = শচীন্দ্র
  87. শিরচ্ছেদ সন্ধি বিচ্ছেদ : শিরঃ + ছেদ = শিরচ্ছেদ
  88. শিরঃপীড়া সন্ধি বিচ্ছেদ : শিরঃ + পীড়া = শিরঃপীড়া
  89. সদানন্দ সন্ধি বিচ্ছেদ : সদা + আনন্দ = সদানন্দ
  90. সদ্যোজাত সন্ধি বিচ্ছেদ : সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত
  91. সন্ধ্যা সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  92. সমর্থ সন্ধি বিচ্ছেদ : সম + অর্থ = সমর্থ
  93. স্বচ্ছ সন্ধি বিচ্ছেদ : সু + অচ্ছ = স্বচ্ছ
  94. স্বরাজ্য সন্ধি বিচ্ছেদ : স্বঃ + রাজ্য = স্বরাজ্য
  95. স্বাগত সন্ধি বিচ্ছেদ : সু + আগত = স্বাগত
  96. স্বাধীন সন্ধি বিচ্ছেদ : স্ব + অধীন = স্বাধীন
  97. সর্বৈব সন্ধি বিচ্ছেদ : সর্ব + এব = সর্বৈব
  98. সর্বোচ্চ সন্ধি বিচ্ছেদ : সর্ব + উচ্চ = সর্বোচ্চ
  99. স্বল্প সন্ধি বিচ্ছেদ : সু + অল্প = স্বল্প
  100. সিংহ সন্ধি বিচ্ছেদ : হিন্স্ + অ = সিংহ
  101. সুধীন্দ্র সন্ধি বিচ্ছেদ : সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
  102. স্বেচ্ছা সন্ধি বিচ্ছেদ : স্ব + ইচ্ছা = স্বেচ্ছা
  103. স্তোত্র সন্ধি বিচ্ছেদ : 
  104. হরিশ্চন্দ্র সন্ধি বিচ্ছেদ : হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র
  105. হিমাদ্রি সন্ধি বিচ্ছেদ : হিম + অদ্রি = হিমাদ্রি
  106. হিতৈষী সন্ধি বিচ্ছেদ : হিত + এষী = হিতৈষী
  107. হিংসা সন্ধি বিচ্ছেদ : হিন্ + সা = হিংসা
  108.  
---Advertisement---

Related Post

📘 Primary TET 2025 Math Pedagogy Practice Set 02 – প্রাইমারি টেট 2025 গণিত পেডাগজি l Boost Your গণিত Preparation Today!

Primary TET 2025 Math Pedagogy Practice Set 02: Are you preparing for the Primary TET 2025 Math exam? Whether you’re just starting or revising your preparation, this blog ...

📘 Primary TET 2025 English Practice Set 03 – Master Pedagogy with MCQs, Practice Sets & Model Questions

Primary TET 2025 English Practice Set 03: Are you preparing for Primary TET 2025 English and looking for the most effective study resources? This blog is your one-stop ...

WBCSSC SLST 2025 Geography Soil MCQ l ভারতের মৃত্তিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

WBCSSC SLST 2025 Geography Soil MCQ: আপনি যদি WBCSSC SLST 2025 পরীক্ষার জন্য ভূগোল বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে মৃত্তিকা (Soil) অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ে ভারতের মৃত্তিকার বিভিন্ন ...

🛕 Questions on Sikhism for competitive exams l শিখ ধর্ম: ইতিহাস, ধর্মগুরু ও চাকরির পরীক্ষায় সম্ভাব্য প্রশ্নাবলি

Questions on Sikhism for competitive exams: চাকরির বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় (যেমন WBCS, RRB Group D, SSC, বা অন্যান্য স্টেট ও সেন্ট্রাল জব এক্সাম) ধর্মীয় জিকে (General Knowledge) থেকে ...

Leave a Comment