---Advertisement---

Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question Answer l বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

By Siksakul

Updated on:

Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question Answer
---Advertisement---

Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question Answer: এই ব্লগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত দশম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যক্রম অনুসারে সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরুপী’ গল্প থেকে সম্ভাব্য MCQ, Very Short, SAQ ও Descriptive Question Answer গুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আসন্ন WBBSE Madhyamik Bengali 2026 পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সহায়ক।

যেসব ছাত্রছাত্রী ‘বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর’ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি সম্পূর্ণ গাইড, যেখানে বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর, সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত প্রশ্নোত্তর গুলো একত্রে সাজানো হয়েছে পরীক্ষার চাহিদা অনুযায়ী।

সাবজেক্ট: মাধ্যমিক বাংলা
পাঠ: বহুরুপী (সুবোধ ঘোষ)
উপযোগী: WBBSE Madhyamik Bengali 2026 পরীক্ষার জন্য
ধরন: MCQ, Very Short Q&A, SAQ, LAQ, Suggestion & Notes

এটি পড়লে পরীক্ষার্থীরা বহুরুপী গল্পটি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবে এবং নম্বর তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে।

তোমরা যারা সুবোধ ঘোষের বহুরুপী গল্পটি নিয়ে মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ও প্রশ্ন-উত্তর খুঁজে চলেছ, তাদের জন্য এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে প্রশ্নোত্তরের সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হলো।

Table of Contents

Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question Answer l প্রশ্নোত্তর | বহুরূপী গল্প – MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Bohurupi Golpo MCQ

  1. হরিদার মতে সব তীর্থ—

(A) মানুষের বুকের ভিতর 

(B) গভীর অরণ্যে

(C) শূন্য আকাশে 

(D) হিমালয়ের চূড়ায়

Ans: (A) মানুষের বুকের ভিতর 

  1. ভবতোষ চেঁচিয়ে উঠেছিল—

(A) হরিদার বাঘ সাজা দেখে 

(B) জগদীশবাবুর টাকার পরিমাণ শুনে 

(C) বকশিশের কথা শুনে 

(D) হরিদার টাকা ত্যাগ করার কথায় 

Ans: (C) বকশিশের কথা শুনে

  1. ‘ ঘুষ নিয়ে তারপর মাস্টারের অনুরোধে রক্ষা করেছিলেন সেই নকল – পুলিশ হরিদা’— ঘুষের পরিমাণ কত ? 

(A) চার আনা 

(B) আট আনা 

(C) আট টাকা 

(D) পঁচিশ টাকা

Ans: (B) আট আনা;

  1. বিরাগীর চোখ থেকে ঝরে পড়েছিল –

(A) ক্ষমা 

(B) অশ্রু 

(C) জ্যোৎস্না 

(D) ক্রোধ

Ans: (C) জ্যোৎস্না

  1. বাইজির ছদ্মবেশে হরিদার রোজগার হয়েছিল— 

(A) আট টাকা দশ আনা 

(B) আট টাকা তিন আনা 

(C) দশ টাকা আট আনা 

(D) তিন টাকা আট আনা

Ans: (A) আট টাকা দশ আনা

  1. দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে হরিদা দাঁড়িয়েছিল— 

(A) ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব সেজে 

(B) পুলিশ সেজে 

(C) স্কুলের মাস্টারমশাই সেজে 

(D) বাউল সেজে

Ans: (B) পুলিশ সেজে

  1. হরিদা পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিলেন— 

(A) লিচু বাগানে 

(B) দালানে 

(C) বাস স্ট্যান্ডে 

Ans: (A) লিচু বাগানে

  1. লিচু বাগানে নকল পুলিশ স্কুলের যে ক – টি ছেলেকে ধরেছিলেন , তার সংখ্যা হল – 

(A) পাঁচ 

(B) চার 

(C) আট

(D) ছয় 

Ans: (B) চার

  1. নকল পুলিশকে ঘুষ দিয়েছিলেন— 

(A) জগদীশবাবু

(B) ড্রাইভার কাশীনাথ 

(C) হরিদা 

(D) স্কুলের মাস্টারমশাই

Ans: (D) স্কুলের মাস্টারমশাই

  1. জগদীশবাবু কেমন স্বভাবের মানুষ ছিলেন ? 

(A) উদার 

(B) কৃপণ

(C) কপট

(D) বিকৃত

Ans: (B) কৃপণ

  1. বড়ো চমৎকার ছিল কোন সময়ের চেহারা ? 

(A) রাতের

(B) সকালের

(C) সন্ধ্যার

(D) ভোরের

Ans: (C) সন্ধ্যার

  1. বিরাগীরুপী হরিদার গায়ে ছিল কেবলমাত্র একটি— 

(A) জামা 

(B) পাঞ্জাবি 

(C) শাল

(D) উত্তরীয়

Ans: (D) উত্তরীয়

  1. বিরাগীর ঝোলার ভিতর যে – বইটি ছিল , সেটি হল—  

(A) গীতা 

(B) কোরান

(C) মহাভারত 

(D) উপনিষদ 

Ans: (A) গীতা

গীতা

  1. জগদীশবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল— 

(A) বারো লক্ষ টাকার 

(B) কুড়ি লক্ষ টাকার 

(C) আঠারো লক্ষ টাকার

(D) এগারো লক্ষ টাকার 

Ans: (D) এগারো লক্ষ টাকার

  1. রাগ হল এক ধরনের—

(A) অনুভূতি 

(B) প্রবৃত্তি 

(C) রিপু 

(D) আচরণ

Ans: (C) রিপু

  1. লেখকের কানের কাছে ফিশফিশ করে যে – বলেছিল — ‘ না না , হরিদা নয় । হতেই পারে না । ‘ তার নাম হল – 

(A) ভবতোষ 

(B) জগদীশ 

(C) সুবোধ

(D) অনাদি

Ans: (A) ভবতোষ

  1. জগদীশবাবু বিরাগীজিকে প্রণামী দিয়েছিলেন— 

(A) পঞ্চাশ টাকা 

(B) পঁচিশ টাকা 

(C) একশো টাকা 

(D) দেড়শো টাকা 

Ans: (C) একশো টাকা

  1. বিরাগী আসলে ছিলেন –

(A) হরিদা 

(B) জগদীশবাবু 

(C) সন্ন্যাসী 

(D) পাগল

Ans: (A) হরিদা

  1. ভবতোষ ভেবেছিল জগদীশবাবু হরিদাকে বকশিশ হিসেবে দেবেন –

(A) আট আনা বা দশ আনা 

(B) দশ আনা বা বারো আনা 

(C) ছ – আনা বা আট আনা 

(D) পাঁচ আনা

Ans: (A) আট আনা বা দশ আনা

  1. সপ্তাহে হরিদা বহুরূপী সেজে বাইরে যান— 

(A) একদিন 

(B) দু – দিন 

(C) চার দিন 

(D) পাঁচ দিন 

Ans: (A) একদিন

  1. সন্ন্যাসী সারাবছর খেতেন— 

(A) একটি বেল

(B) একটি আমলকী 

(C) একটি বহেড়া 

(D) একটি হরীতকী

Ans: (D) একটি হরীতকী

  1. ‘ বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে , কেউ বা বেশ বিরক্ত হয় কেউ আবার বেশ বিস্মিত ।’— বাসযাত্রীদের এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ – 

(A) বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ বহুরূপী হরিদাকে ধমক দিয়েছে 

(B) বহুরূপী হরিদার পাগলের সাজটা চমৎকার 

(C) হরিদা আজ একজন বাউল সেজে এসেছেন 

(D) কাপালিক সেজে এলেও হরিদা কোনো পয়সা নেন না

Ans: (B) বহুরূপী হরিদার পাগলের সাজটা চমৎকার

  1. ‘ সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস ‘ — দুর্লভ জিনিসটি হল— 

(A) সন্ন্যাসীর আশীর্বাদ 

(B) সন্ন্যাসীর সান্নিধ্য 

(C) সন্ন্যাসীর উপদেশ 

(D) সন্ন্যাসীর পদধূলি

Ans: (D) সন্ন্যাসীর পদধূলি

  1. হরিদার শীর্ণ শরীরটা দেখে মনে হয়েছিল –

(A) মহাপুরুষ

(B) অশরীরী 

(C) অতিমানব 

(D) বহুরূপী

Ans: (B) অশরীরী

  1. সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন – 

(A) সাত দিন 

(B) সাত মাস 

(C) সাত সপ্তাহ 

(D) সাত বছর

Ans: (A) সাত দিন

  1. সন্ন্যাসী থাকেন – 

(A) হিমালয়ের চূড়াতে 

(B) মরুভূমিতে

(C) হিমালয়ের গুহাতে

(D) বনভূমিতে

  1. হরিদার ঘরে আড্ডা দিত— 

(A) পাঁচ জন

(B) চার জন 

(C) তিন জন 

(D) ছ – জন 

Ans: (B) চার জন

  1. লেখক ও তার বন্ধুরা কোন কোন সময়ে আড্ডা দিতেন ? 

(A) রাত্রে 

(B) সকাল – দুপুরে

(C) রাতদিন

(D) সকালসন্ধে

Ans: (D) সকালসন্ধে

  1. হরিদার কাছে যা অসম্ভব , তা হল – 

(A) রোজই ভাত রান্না করা

(B) রোজ চা তৈরি করা

(C) রোজ বহুরূপী সাজা 

(D) রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া

Ans: (D) রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া

  1. হরিদার ছোট্ট ঘরটির অবস্থান – 

(A) শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে 

(B) চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে 

(C) দয়ালবাবুর লিচু বাগানে 

(D) জগদীশবাবুর বাড়ির বাগানে

Ans: (A) শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে

  1. হরিদার জীবনজুড়ে ছিল – 

(A) ভয়ানক আপত্তি 

(B) বিচিত্র ছদ্মবেশ 

(C) করুণ আবেদন 

(D) নাটকীয় বৈচিত্র্য

Ans: (D) নাটকীয় বৈচিত্র্য

  1. মাঝে মাঝে সত্যিই হরিদা যা করতেন , তা হল – 

(A) রোজগার 

(B) বিরাগ 

(C) উপোস 

(D) সন্দেহ

Ans: (C) উপোস

  1. যারা বহুরুপীর সাজে হরিদাকে চিনতে পারে তারা বকশিশ দেয় –

(A) এক আনা 

(B) এক পয়সা 

(C) এক টাকা 

(D) এক আনা দু – আনা

Ans: (D) এক আনা দু – আনা

  1. দুপুরবেলায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল- 

(A) শহরের সবচেয়ে সরু গলিটিতে 

(B) জগদীশবাবুর বাড়ির বাগানে 

(C) দয়ালবাবুর লিচু বাগানে 

(D) চাকের বাস স্ট্যান্ডে

Ans: (D) চাকের বাস স্ট্যান্ডে

  1. চাকর বাস স্ট্যান্ডে আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণ ছিল –

(A) একজন বাইজি

(B) একটি উন্মাদ পাগল 

(C) একজন সন্ন্যাসী 

(D) একজন কাপালিক

Ans: (B) একটি উন্মাদ পাগল

  1. পাগলটা যা হাতে তুলে নিয়ে বাসের যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল , তা হল –

(A) একটা পাথর 

(B) একটা থান ইট 

(C) একটা লাঠি 

(D) একটা ঢিল

Ans: (B) একটা থান ইট

  1. বাসের ড্রাইভারের নাম ছিল – 

(A) ভবতোষ 

(B) অনাদি 

(C) কাশীনাথ 

(D) জগদীশ

Ans: (C) কাশীনাথ

  1. ‘ খুব হয়েছে হরি , এইবার সরে পড়ো । অন্যদিকে যাও ।’ কথা বলেছে – 

(A) ভবতোষ 

(B) অনাদি 

(C) কাশীনাথ 

(D) জনৈক বাসযাত্রী

Ans: (C) কাশীনাথ

  1. প্রায় নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছিল— 

(A) একজন কাপালিক 

(B) একজন সন্ন্যাসী 

(C) একজন বাইজি 

(D) একটি পাগল 

Ans: (C) একজন বাইজি

  1. শহরে যারা নতুন এসেছে , তারা –

(A) বেশ বিরক্ত হয় 

(B) ভয়ে কেঁদে ফেলে

(C) দু – চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে 

(D) হতাশ স্বরে প্রশ্ন করে ওঠে

Ans: (C) দু – চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে

  1. জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর বয়স – 

(A) একশো বছর 

(B) হাজার বছরের বেশি 

(C) একশো বছরের বেশি 

(D) হাজার বছর

Ans: (B) হাজার বছরের বেশি

  1. জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে যা লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলেন , তা হল –

(A) সোনার বোল 

(B) সোনার মল 

(C) সোনার আংটি 

(D) সোনার ঘুঙুর

Ans: (A) সোনার বোল

  1. সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু তাকে জোর করে দিয়েছিলেন—

(A) একটা দশ টাকার নোট 

(B) একটা পঞ্চাশ টাকার নোট 

(C) একটা কুড়ি টাকার নোট 

(D) একটা একশো টাকার নোট 

Ans: (D) একটা একশো টাকার নোট

Madhyamik Suggestion 2026 | Madhyamik Bengali Bahurupi Suggestion Question Answer l বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

বহুরূপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Bahurupi Golpo Short Question and Answer 

অতিসংক্ষিপ্ত বা ছোট প্রশ্নোত্তর | বহুরূপী গল্প SAQ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 Bengali Bahurupi Golpo Short Question and Answer

  1. হরিদার কয়েকটি বহুরূপী রূপের উল্লেখ করো ।

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদার কয়েকটি বহুরুপী রূপ হল— পাগল , রূপসি বাইজি , বাউল , কাপালিক , কাবুলিওয়ালা , ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব , পুলিশ ও বিরাগী ।

  1. ‘ সত্যিই যে বিশ্বাস করতে পারছি না’— কী বিশ্বাস করতে পারছে না ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগী – রুপী হরিদাকে দেখে লেখকের সত্যিই বিশ্বাস হয় না যে , এই ব্যক্তিটি আসলে হরিদা ।

  1. জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরুপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু বিরাগী – রূপী হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন ।

  1. ‘ অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না । হরিদার কোন ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে ?

Ans: জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকা অবলীলায় ফেরত দিয়ে দেন বিরাগী – রূপী হরিদা । অভাবের সংসারে হঠাৎ পাওয়া এই টাকা ফেরত দেওয়াকেই হরিদার ভুল বলা হয়েছে ।

  1. জগদীশবাবুর বাড়িতে সন্ন্যাসীটি কত দিন ছিলেন ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে , উঁচু দরের সন্ন্যাসীটি জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন ।

  1. ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে লেখা সারাবছর সন্ন্যাসী কী খান ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরুপী ’ গল্পের জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটি হরীতকী খান , তা ছাড়া আর কিছুই খান না ।

  1. নইলে আমি শান্তি পাব না- বক্তা কী না – হলে শান্তি পাবেন না ।

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরুপী ‘ গল্পে জগদীশবাবু বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেছিলেন যে , না হলে তিনি শান্তি পাবেন না ।

  1. জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা ‘ উঁচু দরের সন্ন্যাসী ‘ – টি কোথায় থাকেন ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা উঁচু দরের সন্ন্যাসী ‘ টি হিমালয়ের গুহাতে থাকেন ।

  1. ‘ একটু পরেই বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয় । -কেন ধমক দিয়েছিল ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের হরিদা একদিন চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে পাগল সেজে , হাতে থান ইট তুলে নিয়ে যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন । তখন ভীত ও আতঙ্কিত যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠায় বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ তাঁকে থামতে বলে ধমক দিয়েছিল ।

  1. ‘ একটু পরেই বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধর্মকে দেয় । – ধমক দিয়ে কী বলেছিল ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ হরিদার পাগলামি দেখে বাসযাত্রীরা ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় ড্রাইভার কাশীনাথ বলেছিল , ‘ খুব হয়েছে হরি , এই বার সরে পড়ো । অন্যদিকে যাও ।

  1. ‘ অনাদি বলে— এটা কী কাণ্ড করলেন হরিদা ? ‘ এখানে কোন কাণ্ডের কথা বলা হয়েছে ।

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে জগদীশবাবু তাকে খাঁটি সন্ন্যাসী ভেবে একশো এক টাকা দিতে চাইলে বিরাগী – রূপী হরিদা তা হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন । এখানে সেই কাণ্ডের কথাই বলা হয়েছে । 

  1. কিন্তু সেটাই যে হরিদার জীবনের পেশা / – হরিদার পেশা কী ছিল ? 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের নায়ক হরিদা মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে সামান্য রোজগার করে ভাতের হাঁড়ির দাবি মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন । এটাই তার পেশা ।

  1. ‘ চমৎকার পাগল সাজতে পেরেছে তো লোকটা —’লোকটা কে ?

Ans: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে ‘ লোকটা ‘ বলতে সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের নায়ক হরিদাকে বোঝানো হয়েছে । 

  1. জগদীশবাবু কীভাবে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলেন । তখন সন্ন্যাসী নতুন খড়ম পরার জন্য বাধ্য হয়ে পা এগিয়ে দিয়ে তা পরলেন ; আর সেই ফাঁকে জগদীশবাবু পায়ের ধুলো নিয়ে নিলেন ।

  1. পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিল ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন । তারপর স্কুলের মাস্টারমশাই এসে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দেওয়ায় নকল পুলিশ হরিদা তাদের ছেড়ে দেন ।

  1. ‘ হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে ।’— কীরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে ? 

Ans: হরিদা পেশায় ছিলেন বহুরূপী । তিনি কখনও পাগল সাজতেন , কখনও বাউল , কখনও কাপালিক , আর কখনও – বা বোঁচকা কাঁধে কাবুলিওয়ালা । এইরকম বহুরূপীর খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে । 

  1. ‘ সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস— সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলার কারণ কী ? 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের সন্ন্যাসী , জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকেই পায়ের ধুলো নিতে দেননি । তাই সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলা হয়েছে ।

  1. হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরুপী ‘ গল্পের নায়ক হরিদার পেশাই হল । বহুরূপী সেজে সামান্য রোজগারকে সম্বল করে অম্লের সংস্থান করা । এটাই তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য ।

  1. হরিদা কোথায় থাকেন ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা শহরের সবচেয়ে সবু গলির ভিতরে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন ।

  1. ‘ আমি বিরাগী , রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই – বক্তার এ কথা বলার কারণ কী ?

Ans: এক প্রকৃত সন্ন্যাসী আসলে সমস্ত জৈবিক প্রবৃত্তিকে জয় করে । তখন সে কাম – ক্রোধ – লোভ ইত্যাদি ষড়রিপুর আর বশবর্তী থাকে না । বিরাগী রূপী হরিদা সে কথাই বলেছেন ।

  1. ‘ কী অদ্ভুত কথা বললেন’— অদ্ভুত কথাটি কী ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে বিরাগী – রূপী হরিদা , জগদীশবাবুর কাছে টাকা না – নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে , সন্ন্যাসী সেজে টাকা নিলে তার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । এখানে এ কথাটিকেই অদ্ভুত বলা হয়েছে ।

  1. ‘ সেদিকে ভূলেও একবার তাকালেন না বিরাগী – কোন দিকে না তাকাবার কথা বলা হয়েছে ?

Ans: জগদীশবাবুর দেওয়া একশো এক টাকার থলিটি সিঁড়ির ওপরেই পড়ে রইল । বিরাগী – রূপী হরিদা সেদিকে ভুলেও আর একবার ; ফিরে তাকালেন না ।

  1. ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের হরিদা কোন সাজ সেজে সবচেয়ে বেশি আয় করেছিলেন ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা রূপসি বাইজি সেজে সবচেয়ে বেশি ; মোট আট টাকা দশ আনা রোজগার করেছিলেন ।

  1. বিরাগীর উদ্দেশ্যে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধ কী ছিল ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু , বিরাগী – রূপী হরিদার পায়ের কাছে একশো এক টাকার থলিটি রেখে , তা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ।

  1. ‘ হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম , ‘ আমরা ‘ বলতে এখানে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: উদ্ধৃতিটি সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের অংশ । এখানে ‘ আমরা ‘ বলতে স্বয়ং গল্পকার ও তাঁর বন্ধু ভবতোষ , অনাদি ছাড়াও অন্যদের বোঝানো হয়েছে ।

  1. ‘ গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা । – হরিদার গম্ভীর হওয়ার কারণ কী ?

Ans: সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসী সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো এক টাকা পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন । এ কথা শুনে হরিদার বিশ্বাস । টলে যায় । তিনি গম্ভীর হয়ে যান ।

  1. ‘ কিন্তু ওই ধরনের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দই নয় । — কোন ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: অভাবী হরিদা ইচ্ছে করলেই কোনো অফিসে বা দোকানে একটা কাজ পেতে পারতেন । কিন্তু ঘড়ি ধরে নিয়ম করে রোজ একটা চাকরি করা , হরিদার না – পসন্দ ছিল ।

  1. চকের বাস স্ট্যান্ডে বহুরূপী হরিদা কী রূপে হাজির হয় ? 

Ans: কটকটে লাল চোখ , মুখ থেকে লালা ঝরছে , কোমরে ছেঁড়া কম্বল , গলায় টিনের কৌটোর মালা ঝোলানো এক পাগলের ছদ্মবেশে চকের বাস স্ট্যান্ডে হাজির হন হরিদা । 

  1. ‘ খুব হয়েছে হরি , এইবার সরে পড়ো । অন্যদিকে যাও / – কে , কেন কথাটি বলেছেন ? 

Ans: একদিন দুপুরে চাকের বাস স্ট্যান্ডে হরিদা পাগলের ছদ্মবেশে হাতে থান ইঁট নিয়ে বাসে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন । সেই প্রেক্ষিতেই বাস ড্রাইভার কাশীনাথের এই উক্তি ।

  1. কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে – হরির কাণ্ড ! -হরির কোন্ কাণ্ড দেখে দোকানদার হেসে ফেলেছিলেন ? 

Ans: এক সন্ধ্যায় বাইজির ছদ্মবেশে হরি শহরের পথে ঘুঙুরের মিষ্টি শব্দ করে হেঁটে চলে । নতুনরা অবাক হলেও দোকানদার হরিকে চিনতে পেরে হেসে ফেলে ।

  1. ‘ এবারের মতো মাপ করে দিন ওদের – এ কথা কে , কাকে বলেছিলেন ?

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে যখন পুলিশের ছদ্মবেশে হরিদা স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন , তখন স্কুলের মাস্টারমশাই এ কথা বলেছিলেন । 

  1. ‘বা , সত্যি , খুব চমৎকার পুলিশ সেজেছিল হরি ! —কে , কখন এ কথা বলেছিলেন ? 

Ans: দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের মাস্টারমশাই পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দিয়ে ছেলেদের ছাড়িয়ে আনার পরে পুলিশের আসল পরিচয় জানতে পেরে তখনই এই প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেন ।

  1. জগদীশবাবুর বাড়িতে খেলা দেখাবার জন্য হরিদার এত উৎসাহ জেগে উঠেছিল কেন ?

Ans: হরিদার সারাদিন নানান ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়িয়েও দু – তিন টাকার বেশি রোজগার হয় না । তাই মোটা টাকা আদায়ের জন্য হরিদার মধ্যে এই উৎসাহ জেগেছিল ।

  1. ‘ আমাদের সন্দেহ মিথ্যে নয় ।’— কোন্ সন্দেহ মিথ্যে নয় বলে মনে করেছেন বক্তা ?

Ans: সন্ন্যাসীর খবর শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে যাওয়ায় কথক ও তাঁর বন্ধুরা বুঝেছিলেন যে , হরিদার মাথায় কোনো মতলব এসেছে । এই প্রসঙ্গেই কথকের এই উক্তিটির অবতারণা । 

  1. ‘ বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা । সন্ধ্যার চেহারাটির বর্ণনা দাও ।

Ans: সেই সন্ধ্যায় চাঁদের আলোর একটা স্নিগ্ধ ও শান্ত উজ্জ্বলতা চারদিকে ফুটে উঠেছিল । ফুরফুর করে বাতাস বইছিল । জগদীশবাবুর বাগানের গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির শব্দ করছিল ।

  1. চমকে উঠলেন জগদীশবাবু / – জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী ?

Ans: আদুড় গায়ে , সাদা উত্তরীয় জড়ানো , ছোটো সাদা থান , মাথায় সাদা চুল , পায়ে ধুলো মাখা বিরাগীকে দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠলেন ।

  1. ‘ আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো ? —কথাটি বন্ধা কেন বলেছেন ।

Ans: বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে এলে জগদীশবাবু বিরাগীকে দূর থেকে অভ্যর্থনা জানান । এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিরাগী উত্ত মন্তব্যটি করেছেন ।

  1. ‘ আমার অপরাধ হয়েছে । কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে ?

Ans: বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদাকে দেখে মুগ্ধ জগদীশবাবু নেমে এসে বিরাগীকে অভ্যর্থনা না জানানোয় বিরাগী অসন্তুষ্ট হন । সেই অসন্তোষকে শান্ত করতেই জগদীশবাবুর এমন উক্তি ।

  1. ‘ না না , হরিদা নয় । হতেই পারে না । বস্তুা ও তার সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের কারণ কী ? 

Ans: বিরাগীর গলার স্বর , মুখের ভাষা ও চোখের দৃষ্টির সঙ্গে হরিদার কোনো মিল না থাকায় বিরাগীকে বক্তা ও তার বন্ধুদের হরিদা বলে মনে হয়নি ।

  1. পরমসুখ বলতে বিরাগী কী বুঝিয়েছেন ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে বিরাগীর মতানুসারে , সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তের সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে পারলেই ‘ পরমসুখ ’ লাভ করা যায় ।

  1. জগদীশবাবুকে বিরাগী কী উপদেশ দেন ?

Ans: বিরাগী জগদীশবাবুকে বলেন , ধন – জন – যৌবন আসলে মোহময় বঞ্চনা । মন – প্রাণ দিয়ে একজনের আপন হতে চেষ্টা করলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্যই লাভ করা যায় ।

  1. তীর্থযাত্রা সম্পর্কে বিরাগীর অভিমত কী ছিল ?

Ans: জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো টাকা দিতে চাইলে বিরাগী বলেন , মানুষের অন্তরেই ঈশ্বরের বাস , সকল তীর্থের মিলনস্থল । তাই আলাদাভাবে তীর্থদর্শনের প্রয়োজনীয়তা নেই ।

  1. ‘ চমকে ওঠে ভবতোষ । — ভবতোষের চমকে ওঠার কারণ কী ?

Ans: হরিদার বাড়িতে ঢুকে তার পোশাক ইত্যাদি দেখে ভবতোষরা বুঝতে পারল যে , হরিদাই আসলে বিরাগী । তখন তারা চমকে ওঠে । 

  1. ‘ তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । -বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন ?

Ans: এক্ষেত্রে বক্তা হলেন হরিদা । জগদীশবাবু বিরাগী – বেশী হরিদাকে প্রণামী দিতে গেলে তিনি তা নেন না । কারণ সে বিরাগীর ছদ্মবেশে টাকা নিলে তাতে অভিনয়ের ঢং নষ্ট হয় ।

  1. হরিদার কাছে লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কী গল্প করেছিলেন ? 

Ans: হিমালয়ের এক উঁচুদরের সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন । তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি । তিনি বছরে একটি মাত্র হরীতকী খান । সেই গল্পই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা করেছিলেন ।

  1. ‘ আক্ষেপ করেন হরিদা – হরিদার এই আক্ষেপের কারণ কী ছিল ? 

Ans: হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসীর মাহাত্ম্যের কথা শুনে তাঁর পায়ের ধুলো নিতে চান । কিন্তু সন্ন্যাসী চলে যাওয়ায় হরিদার সেই ইচ্ছা আক্ষেপে পরিণত হয় ।

  1. ‘ বাঃ , এ তো বেশ মজার ব্যাপার ! ‘ — মজার ব্যাপারটি কী ? 

Ans: মজার ব্যাপারটি হল সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ হলেও কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ধরতেই তিনি পা বাড়িয়ে দিলেন । সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন।

Madhyamik Suggestion 2026 | মাধ্যমিক সাজেশন ২০২৬

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Bahurupi ২০২৬

  1. ‘ হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম , – হরিদা কে ? তাঁর কাছে বক্তা কী গল্প করেছিল ?

Ans: সুবোধ ঘোষ রচিত ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের মুখ্য চরিত্র হল হরিদা । হরিদার পরিচয় তিনি পেশায় একজন বহুরূপী । তাঁর জীবনে অনেক অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজের পেশার প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল ছিল ।

  বক্তা ও তাঁর বন্ধুরা হরিদাকে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসীর কথা জানিয়েছিলেন । হিমালয় থেকে আসা সেই সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটা হরীতকী খান । সন্ন্যাসী হলেও তিনি জগদীশবাবুর কাছ থেকে সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো এক টাকা দক্ষিণা গ্রহণ করেছিলেন । 

  1. ‘ খুব উঁচু দরের সন্ন্যাসী । — সন্ন্যাসীর পরিচয় দাও ।  

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে আমরা এক সন্ন্যাসীর পরিচয় পাই । পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়িতে সেই সন্ন্যাসী সাত দিন ছিলেন । তিনি সন্ন্যাসীর পরিচয় হিমালয়ের গুহায় থাকতেন । তাঁর সারাবছরের খাদ্য একটি মাত্র হরীতকী , বয়স হাজারেরও বেশি । তাঁর পদধুলি দুর্লভ , জগদীশবাবু ছাড়া কেউ পাননি । তবে এহেন সর্বস্বত্যাগীর প্রকৃত স্বরূপ বোঝা যায় তখন , যখন জগদীশবাবুর দেওয়া সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো টাকার নোট সানন্দ চিত্তে গ্রহণ করেন ।

  1. ‘ বাঃ , এ তো বেশ মজার ব্যাপার ! —কোন ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে ? ঘটনাটি মজার কেন ?

Ans: ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয় থেকে যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন , তিনি এতই উঁচু দরের যে , কাউকে পদধূলি গ্রহণের ঘটনার পরিচয় অনুমতি পর্যন্ত দিতেন না । শেষপর্যন্ত জগদীশবাবু তাঁর কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে পায়ের সামনে ধরলে সন্ন্যাসী পা এগিয়ে দিয়েছিলেন । এভাবে একমাত্র জগদীশবাবুই তাঁর পদধূলি পেতে সক্ষম হয়েছিলেন । 

  মুখ্য চরিত্র হরিদার মতে , ঘটনাটি মজার । কারণ , সর্বস্বত্যাগী হিমালয়বাসী সন্ন্যাসী ও সোনার আকর্ষণ অগ্রাহ্য করতে পারেননি । 

  1. ঘটনাটি মজার কেন ‘ কিন্তু কাজ করতে হরিদার প্রাণের মধ্যেই যেন একটা বাধা আছে ? — কোন কাজের কথা বলা হয়েছে ? ‘ হরিদার প্রাণের মধ্যেই যেন একটা বাধা আছে ? —বাক্যটির অর্থ পরিস্ফুট করো ।

Ans: ‘ বহুরূপী ’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে ‘ কাজ ‘ বলতে যে – কোনো নিয়মমাফিক ঘড়িধরা সময়ের চাকরির কথা বলা হয়েছে । হরিদা নিজের খুশিমতো বহুরূপী সাজেন ; যখন ইচ্ছা , যেদিন ইচ্ছা । প্রশ্নোদৃত বাক্যের কিন্তু যে কাজে বাধ্যবাধকতা রয়েছে , সে – কাজ অর্থ পরিস্ফুটন করার মতো মানসিকতা তাঁর নেই । তিনি মুক্ত পুরুষ । সংসারে যেমন তাঁর কোনো বন্ধন নেই , তেমনি আর্থিক বন্ধনেও জড়িয়ে পড়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় । হরিদার শিল্পীস্বভাব এবং অন্তর্মনের বৈরাগ্যই এর প্রধান কারণ ।

  1. ‘ হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে ? —জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্য বলতে কী বোঝ ? হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ?

Ans: ‘ নাটকীয় ‘ শব্দটির অর্থ হল যা নাটকের মতো , অর্থাৎ ঘটনাবহুল বৈচিত্র্যময় দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে মানুষের জীবনে । নাটকীয় বৈচিত্র্য নাটকীয়তা থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন । তবেই জীবন উপভোগ্য হয়ে ওঠে । এখানে সেই ব্যতিক্রমকেই নাটকীয় বৈচিত্র্য বলা হয়েছে । হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল তাঁর বৃত্তি অর্থাৎ বহুরূপী সেঙে মানুষকে চমকে দেওয়ার পেশা । এতে তাঁর রোজগার সামান্য হলেও তাঁর জীবনে বৈচিত্রা এনে দেয় এই পেশা ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা |  Madhyamik Bengali Bahurupi

1. ‘ তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । – বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ? এই উক্তির আলোকে বক্তার চরিত্র বিশ্লেষণ করো । 

Ans: উদ্ধৃতিটি সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প থেকে গৃহীত । বক্তা হলেন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র বহুরূপী হরিদা । হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগীর ছদ্মবেশে খেলা দেখাতে গিয়ে প্রণামীর টাকা না নিয়ে ফিরে এসেছিল । অবাক গল্পের কথক ও তার বন্ধু অনাদি , ভবতোষরা অভাবী হরিদাকে টাকা না নেওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে , হরিদা অভিনয়ের প্রতি শ্রদ্ধা এবং একজন আদর্শ শিল্পীর মর্যাদার প্রসঙ্গ তুলে কথাটি বলেছেন ।

হরিদা শুধুমাত্র পেশাগত জীবনে বহুরূপী নয় , তার ব্যক্তিগত জীবনও নাটকীয় বৈচিত্র্যে ভরা । আপাতদৃষ্টিতে সমাজে অবহেলিত এই পেশায় নিযুক্ত মানুষের মধ্যেও যে সততা , নিষ্ঠা , শ্রদ্ধার মতো গুণগুলি বেঁচে আছে তা লেখক দেখাতে চেয়েছেন এই গল্পে । অভাব হরিদার নিত্যসঙ্গী । হরিদা কিন্তু সেই অভাবকে দূরে সরিয়ে দিতে গতে বাঁধা জীবনের পথে পা বাড়ায়নি । এসব সম্ভব হয় একমাত্র তার নির্লোভ ও সংযমী জীবনযাপনের জন্যই । তাই জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগীর ছদ্মবেশে খেলা দেখাতে গিয়ে অভাবী হরিদা তার দেওয়া সমস্ত সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে । কথক ও তার বন্ধুরা যখন অভাবী হরিদাকে প্রণামী না নেওয়ার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে , হরিদা তখন শিল্প ও শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্লিপ্তভাবে বলেছেন , ” তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে । ” 

2. ‘ আমি বিরাগী , রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই । -বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ? এই উক্তির প্রেক্ষিতে বক্তার চরিত্র গল্পে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে তা আলোচনা করো । 

Ans: প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে উদ্‌ধৃত অংশটির বক্তা হলেন ছদ্মবেশী বিরাগী । হরিদা যখন বিরাগীর ছদ্মবেশে জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন , জগদীশবাবু তখন এগিয়ে এসে তাঁকে অভ্যর্থনা না জানালে বিরাগী রুষ্ট হন । ভয় পেয়ে জগদীশবাবু অপরাধ স্বীকার করে নেন এবং বিরাগীকে অনুরোধ করেন তার ওপর রাগ না করার জন্য । ছদ্মবেশী বিরাগী এই প্রসঙ্গেই উক্তিটি করেছেন । সন্ন্যাসীর চরিত্র প্রকৃতপক্ষে কেমন হওয়া উচিত এ কথা পাঠকদের বোঝাতেই লেখক যেন চরিত্রটি সৃষ্টি করেছেন । জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয় থেকে আসা সন্ন্যাসীর পাশাপাশি বিরাগীর চরিত্রটি রাখলে তা সহজেই অনুমান করা যায় । বিরাগী প্রথমে জগদীশবাবুর অহংকারে আঘাত করেছেন , তাকে অপরাধ স্বীকার করিয়েছেন । আবার সত্যিকার বিরাগীর মতো তাকে ক্ষমাও করেছেন । ভক্তের সেবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে গ্রহণ করেছেন মাত্র এক গ্লাস জল । থাকার ও দান গ্রহণের অনুরোধ সবই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছেন তিনি । জগদীশবাবু উপদেশ শুনতে চাইলে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বলেছেন পরমেশ্বরের দেখা পেলেই সমস্ত ঐশ্বর্য পাওয়া যায় । তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী দিতে চাইলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেন হৃদয়ের মধ্যেই তো সব তীর্থ । বিরাগী চরিত্রটি পূর্ণতা পায় তারই উক্তিতে , “ আমি যেমন আনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি , তেমনি সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি । ” সত্যিই তা করতে জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকার থলিটা সিঁড়িতে পড়ে থাকলেও সেদিকে না তাকিয়ে তিনি চলে যান ।

3. ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে জগদীশবাবুর চরিত্রটি ব্যাখ্যা করো। 

Ans: ‘ সুবোধ ঘোষ রচিত ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের একটি পার্শ্বচরিত্র হল জগদীশবাবুর চরিত্রটি । চরিত্রটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না । তার মধ্যেও যেটুকু জানা যায় , তা হল , জগদীশবাবু বয়স্ক মানুষ । তাঁর সাদা চুল , সাদা দাড়ি , সৌম্য , শান্ত চেহারা । তিনি ধনী হলেও কৃপণ । পাড়ার ছেলেদের নানা আবদারে চাঁদা দিয়ে থাকেন । জগদীশবাবুর দুর্বলতম স্থান হল তাঁর মনের অন্ধভক্তি । সুখ ও শান্তির সন্ধানে তিনি সন্ন্যাসী গোছের লোক দেখলেই তাকে খুশি করার চেষ্টা করেন ; তা সে কাঠের খড়মে সোনার বোল পরিয়েই হোক বা একশো টাকা প্রণামী দিয়েই হোক । তাঁর এই মানসিকতার জন্যই ভণ্ড সন্ন্যাসীর পাল্লায় পড়ে তাঁকে বোকা বনতেও হয় , যদিও তিনি নিজে তা বোঝেন না । এই স্বভাবটিকে ভরসা করেই হরি বহুরূপীও তাঁকে বিরাগী সন্ন্যাসীর দর্শন করিয়ে দেয় । ধনী হওয়া সত্ত্বেও সন্ন্যাসীর কাছে মাথা নত করেছেন জগদীশবাবু । প্রকৃত সত্য না জেনে হরির কাছে বোকা বনলেও জগদীশবাবুর শ্রদ্ধাভক্তি ছিল খাঁটি । 

4. আজ তোমাদের একট জবর খেলা দেখাব । বক্তার এই জবর খেলা দেখানোর উদ্দেশ্য কী ছিল ? শেষপর্যন্ত এই খেলার পরিণতিই বা কী হয়েছিল ? 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প থেকে উপরের উদ্ধৃতিটি নেওয়া । পাঠ্য কাহিনি অনুসারে গ্রামের বিখ্যাত ধনী , জনৈক জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয়ের গুহা থেকে এক উঁচু দরের সন্ন্যাসীর আগমন ঘটে । বহুরূপী হরিদা পাড়ার ছেলেদের কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন ঘটনা শুনে টের পান যে , তিনি প্রকৃত সন্ন্যাসী নন । সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর প্রকৃত স্বরূপ কেমন হওয়া উচিত তা বোঝাতেই , এরপর হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন । 

   বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা সকলকে বিস্মিত করেছিলেন । জ্যোৎস্নালোকিত রাতের স্নিগ্ধ পরিবেশে তাঁর আদুড় গায়ের ওপর সাদা উত্তরীয় এবং পরনে ছোটো বহরের থান আর হাওয়ায় উড়তে থাকা চুল ও কাঁধে ঝোলার মধ্যে থাকা গীতা— সব মিলিয়ে মনে হয়েছিল যেন তিনি জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে এসেছেন । হরিদার চোখের উদাত্ত উজ্জ্বল দৃষ্টি – কণ্ঠস্বর ও মুখের ভাষায় : জগদীশবাবুর হৃদয় করুণাময় সজল হয়ে উঠেছিল । তিনি এই সর্বত্যাগী বিরাগীকে তুষ্ট করতে তীর্থভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী হিসেবে একশো এক টাকা নিবেদন করেন । কিন্তু বহুরূপী হরিদার অন্তরের বৈরাগ্য এবং নিজ শিল্পের প্রতি আন্তরিক সততার কারণে তিনি , সেই টাকার থলি হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন । তাতে যে তার ঢং নষ্ট হয়ে যেত । তবে সত্যিকারের বিরাগী সন্ন্যাসী দর্শন করানোর জন্য জগদীশবাবুর কাছ থেকে সামান্য বকশিশ আদায়ের দাবিটুকুকেই হরিদা , পাথেয় বলে স্থির করেছিলেন ।

5. ‘ বহুরূপীর জীবনের যে মর্মান্তিক বেদনার কথা ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের মাধ্যমে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে তা নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করো । অথবা , খাঁটি মানুষ তো নয় , এই বহুরূপীর জীবন এর বেশি কী আশা করতে পারে ? ‘ — বহুরূপী জীবনের এই ট্র্যাজেডি পাঠ্য ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অবলম্বনে আলোচনা করো । 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা এক আশ্চর্য মানুষ । তিনি গরিব হলেও কেবল পেটের দায়ে গতে বাঁধা কাজ করতে চান না । নির্লোভ , চিন্তাশীল , স্বাধীনচেতা ও শিল্পীমনের অধিকারী হরিদা , দৈনন্দিন অভাবের সঙ্গে অভ্যস্ত হলেও কাজ নামক দিনগত পাপক্ষয়ের থেকে শতহাত দূরে থাকতেই ভালোবাসেন । তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য হল , তিনি বহুরূপের কারবারী । মাঝে মাঝে তাঁকে কেমন উপোস করে কাটাতে হয় , তেমনই হঠাৎ একদিন তিনি বিচিত্র ছদ্মবেশে অপরূপ হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন । কখনও পাগল সেজে হরিদা চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে আতঙ্কের হল্লা তোলেন , আবার কখনও সন্ধ্যার মায়াময় আলোয় রূপসি বাইজি সেজে উপস্থিত সকলকে স্তম্ভিত করে দেন । নিজের পেশায় হরিদা এতটাই পারদর্শী যে স্থানীয় স্কুলের মাস্টারমশাইও তাঁকে নকল – পুলিশ বলে চিনতেই পারেন না । এ হেন হরিদা পাড়ার ছেলেদের মুখে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা ভণ্ড সন্ন্যাসীর গল্প শুনে , তাদের সত্যিকারের বিরাগী সন্ন্যাসী দর্শন করানোর কথা ভাবেন । সেই চন্দ্রালোকিত রাতে জগদীশবাবুর বাড়িতে হাজির হয় এক অন্য হরিদা । সে সাজহীন – অলংকারহীন এক সামান্য বিরাগী । তবে তাঁর আচরণ , মুখের ভাষা , তত্ত্বজ্ঞান এবং উদাত্ত – উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি সবাইকে মুগ্ধ ও উদ্বেল করে তোলে । প্রকৃত সন্ন্যাসীর মতোই জগদীশবাবুর দেওয়া একশো এক টাকা তিনি হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন । কারণ প্রকৃত বৈরাগ্যের অধিকারী হরিদার কাছে তখন শিল্প ও জীবন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় । আসলে তিনি শুধু নিছক বহুরূপের কারবারীমাত্র নন , সততা – শিল্পীস্বভাব ও জীবনদর্শনে একজন অসামান্য মানুষ । কিন্তু সমাজে সামান্য হরি বহুরূপীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা এমন দেবতাসুলভ অসামান্যতা কোনোদিন তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা পায় না । জীবনের এই মর্মান্তিক বেদনা – যন্ত্রণা ও ট্র্যাজেডিকে মেনে নিয়েই , তাই নির্লিপ্তভাবে তিনি কেবল বকশিশটুকুই ন আশা করেন ।

6. জগদীশবাবুর বাড়ি হরিদা বিরাগী সেজে যাওয়ার পর যে ঘটনা ঘটেছিল তা বর্ণনা করো । 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্প অনুসারে এক স্নিগ্ধ ও শাস্ত জ্যোৎস্নালোকিত উজ্জ্বল সন্ধ্যায় জগদীশবাবু বারান্দার চেয়ারে বসেছিলেন । হঠাৎ বারান্দার সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন । কারণ সিঁড়ির কাছে এমন একজন দাঁড়িয়েছিলেন যিনি জটাজুটধারী , হাতে কমণ্ডলু , চিমটে , মৃগচর্মের আসন – সহ গৈরিক বসন পরিহিত কোনো সন্ন্যাসী নয় , তিনি একজন বিরাগী , যার আদুড় গা , তার উপরে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় । পরনে ছোটো বহরের থান । তার শীর্ণ শরীর দেখে মনে হচ্ছিল যেন অশরীরী এবং তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল উদাত্ত শান্ত এক উজ্জ্বল দৃষ্টি । ভক্তের সেবার ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে গ্রহণ করেছেন মাত্র এক গ্লাস জল । থাকার ও দান গ্রহণের অনুরোধ সবই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছেন তিনি । জগদীশবাবু উপদেশ শুনতে চাইলে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বলেছেন পরমেশ্বরের দেখা পেলেই সমস্ত ঐশ্বর্য পাওয়া যায় । তাঁকে তীর্থ ভ্রমণের অজুহাতে প্রণামী দিতে চাইলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বলেন হৃদয়ের মধ্যেই তো সব তীর্থ । বিরাগী চরিত্রটি পূর্ণতা পায় তারই উক্তিতে , ” আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি , তেমনই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি । ” সত্যিই তা করতে জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকার থলিটা সিঁড়িতে পড়ে থাকলেও সেদিকে না তাকিয়ে তিনি চলে যান ।

7. “ চমকে উঠলেন জগদীশবাবু । – জগদীশবাবুর পরিচয় দাও । তার চমকে ওঠার কারণ আলোচনা করো । 

Ans: সুবোধ ঘোষের ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে জগদীশবাবু একটি পার্শ্বচরিত্র । তিনি শিক্ষিত , মার্জিত ও ভদ্র , সৌম্য – শান্ত চেহারার অধিকারী , ধনী হলেও কৃপণ । তাঁর জীবনের দুর্বলতা হল তাঁর অন্ধভক্তি । সুখ – শান্তির আশায় সাধু – সন্ন্যাসী দেখলেই তাদের তিনি তুষ্ট করার চেষ্টা করতেন । এর জন্য অবশ্য তিনি মাঝেমধ্যেই ঠকেছেন । 

  এক স্নিগ্ধ ও শান্ত জ্যোৎস্নালোকিত উজ্জ্বল সন্ধ্যায় জগদীশবাবু বারান্দার চেয়ারে বসেছিলেন । হঠাৎ বারান্দার সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর চোখের পাতা পড়ছিল না । কারণ সিঁড়ির কাছে এমন একজন দাঁড়িয়েছিলেন যিনি জটাজুটধারী , হাতে কমণ্ডলু , চিমটে , মৃগচর্মের আসন – সহ গৈরিক বসন পরিহিত কোনো সন্ন্যাসী নয় , তিনি একজন বিরাগী , যার আদুড় গা , তার ওপরে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় । পরনে ছোটো বহরের খান । তার মাথার শুকনো চুলগুলো বাতাসে উড়ছে , হাত পা ধুলো মাখা , কাঁধে একটা ঝোলা , যার মধ্যে একটি মাত্র বই গীতা । জগদীশবাবুর তাঁকে দেখে মনে হয়েছিল তিনি যেন জগতের সীমার ওপার থেকে হেঁটে চলে এসেছেন । তার শীর্ণশরীর দেখে মনে হচ্ছিল যেন অশরীরী এবং তাঁর চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল উদাত্ত শান্ত এক উজ্জ্বল দৃষ্টি । 

আরো পড়ুনঃ আশাপূর্ণা দেবীর গল্প জ্ঞানচক্ষু থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

---Advertisement---

Related Post

📘 SSC CHSL 2025 Practice Set 1 – Solve Important Questions in GK, English & Reasoning

SSC CHSL 2025 Practice Set 1: Preparing for the SSC CHSL 2025 exam? Then you’ve landed at the right place! This blog presents a carefully curated SSC CHSL ...

📘 Primary TET 2025 Math Pedagogy Practice Set 02 – প্রাইমারি টেট 2025 গণিত পেডাগজি l Boost Your গণিত Preparation Today!

Primary TET 2025 Math Pedagogy Practice Set 02: Are you preparing for the Primary TET 2025 Math exam? Whether you’re just starting or revising your preparation, this blog ...

📘 Primary TET 2025 English Practice Set 03 – Master Pedagogy with MCQs, Practice Sets & Model Questions

Primary TET 2025 English Practice Set 03: Are you preparing for Primary TET 2025 English and looking for the most effective study resources? This blog is your one-stop ...

WBCSSC SLST 2025 Geography Soil MCQ l ভারতের মৃত্তিকা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

WBCSSC SLST 2025 Geography Soil MCQ: আপনি যদি WBCSSC SLST 2025 পরীক্ষার জন্য ভূগোল বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে মৃত্তিকা (Soil) অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ে ভারতের মৃত্তিকার বিভিন্ন ...

Leave a Comment