---Advertisement---

Madhyamik Bengali Question and Answer 2026 l মাধ্যমিক বাংলা ‘জ্ঞানচক্ষু’ প্রশ্নোত্তর | আশাপূর্ণা দেবীর গল্প জ্ঞানচক্ষু থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – মাধ্যমিক বাংলা প্রস্তুতি

By Siksakul

Updated on:

Madhyamik Bengali Question and Answer
---Advertisement---

Madhyamik Bengali Question and Answer 2026 | Class 10 Bengali WBBSE

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা পাঠ্যক্রমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হল আশাপূর্ণা দেবী রচিত গল্প ‘জ্ঞানচক্ষু’। এই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসে—বিশেষ করে বহুবিকল্পভিত্তিক (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত ও রোচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (Descriptive Questions)

এই ব্লগে আমরা তুলে ধরেছি:

  • ✅ জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে সম্ভাব্য ও পূর্ববর্তী বছরগুলির প্রশ্ন
  • ✅ Madhyamik Suggestion অনুযায়ী সাজানো উত্তর
  • ✅ পরীক্ষার উপযোগী বিশ্লেষণমূলক ও টীকা সহ উত্তর

যারা WBBSE মাধ্যমিক বাংলা – দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী, তারা এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়লে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে অনেকটাই সাহায্য পাবে।


✍️ নিচে দেওয়া প্রশ্নোত্তর গুলি পড়ো, লিখে প্র্যাকটিস করো এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নাও।

Madhyamik Bengali Question and Answer 2026 l মাধ্যমিক বাংলা ‘জ্ঞানচক্ষু’ প্রশ্নোত্তর l Madhyamik Bengali Gyanchakshu Suggestion Question Answer

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer

Table of Contents

  1. তপনের হাত আছে — কথাটির অর্থ হলো— 

(A) হস্তক্ষেপ

(B) ভাষার দখল 

(C) মারামারি 

(D) জবরদস্তি 

Ans: B. ভাষার দখল

  1. “ যেন নেশায় পেয়েছে ” –যে নেশার কথা বলা হয়েছে-

(A) গল্প ছাপানোর নেশা

(B)  মেসোর সমকক্ষ হওয়ার নেশা

(C)  গল্প লেখার নেশা

(D) বাড়িতে সম্মান বাড়ানোর নেশা

Ans: C. গল্প লেখার নেশা

  1. মামার বাড়িতে থেকে তপন প্রথম যে গল্পটি লিখেছিল— 

(A) দুপুরবেলা

(B) বিকেলবেলা

(C)  সকালবেলা

(D) রাত্রিবেলা

Ans: A. দুপুরবেলা

  1. “ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ” -এর কারণ হলো— 

(A) অজানা আতঙ্ক

(B) স্বরচিত গল্প পাঠের অনুভূতি

(C) ভৌতিক গল্প পাঠের প্রতিশ্রুতি

(D) নতুন মেসোর ব্যবহার

Ans: B. স্বরচিত গল্প পাঠের অনুভূতি

  1. ঠাট্টা – তামাশার মধ্যে তপন যেক’টি গল্প লিখেছে-

(A) একটি

(B) তিনটি – চারটি

(C) দু’টি – তিনটি

(D) চার – পাঁচটি

Ans: C. দু’টি – তিনটি

  1. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম ” —উক্তিটির বক্তা— 

(A) ছোটোমাসি

(B) মেজোকাকু

(C) তপনের বন্ধুরা

(D) মেসো

Ans:  B. মেজোকাকু

  1. “ কই পড় , লজ্জা কী ? পড় সবাই শুনি । ” কথাটি বলেছিলেন তপনের 

(A) বাবা

(B) কাকা

(C) মা

(D) ছোটোমাসি

Ans: C. মা

  1. ছোটোমাসি আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা নিয়ে বসে—

(A) চা খায়

(B) ডিমভাজা খায়

(C) ডিমভাজা আর কফি খায়

(D) ডিমভাজা আর চা খায়

Ans:  D. ডিমভাজা আর চা খায়

  1. তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে হয়—

(A) আনন্দিত

(B) উল্লসিত

(C) পুলকিত

(D) আনন্দি

Ans: C. পুলকিত

  1. “ শুধু এইটাই জানা ছিল না” – অজানা বিষয়টি হলো –

(A) তার গল্প ছাপা হবে

(B) মেসো একজন লেখক

(C) মানুষই গল্প লেখে

(D) মেসো একজন অধ্যাপক

Ans: B. মেসো একজন লেখক

MCQ প্রশ্নোত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা | Madhyamik Bengali Gyanchakshu [Mark-1] :

  1. তপনের লেখা গল্পের নাম ছিল – 

(A) ‘ প্রথম দিন ‘ , 

(B) ‘ স্কুলে প্রথম দিন ‘ , 

(C) ‘ শেষ রাত ‘ , 

(D) ‘ শেষ দিন ‘ ।

Ans: (A) ‘ প্রথম দিন ‘ ; 

  1. তপনের সম্পূর্ণ নাম কী ছিল ? 

(A) তপন কুমার সেন ,

(B) শ্রী তপন কুমার বিশ্বাস , 

(C) তপন কুমার পাল ,

(D) শ্রীতপন কুমার রায় । 

Ans: (D) শ্রীতপন কুমার রায় ; 

  1. “ গভীরভাবে সংকল্প করে তপন ” – 

(A) আর কখনো লেখা ছাপানোর জন্য নিজে কোথাও যাবে না , 

(B) মেসো নয় , মাসিকেই লেখা জমা দেবে , 

(C) ডাকে লেখা পাঠাবে , 

(D) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে । 

Ans: (D) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে ; 

  1. ‘ তা ওরকম একটি লেখক মেসো থাকা মন্দ নয় ।’- একথা বলেছেন – 

(A) তপনের ছোটোমাসি , 

(B) তপনের মেজোকাকু ,

(C) তপনের বাবা , 

(D) তপনের ছোটোমামা ।

Ans: (B) তপনের মেজোকাকু ; 

  1. ‘ তারপর ধমক খায় ‘ – তপন ধমক খায় – 

(A) গল্প লেখার জন্য , 

(B) নিজের লেখা গল্প না পড়ার জন্য , 

(C) ছোটোমাসির অবাধ্য হওয়ার জন্য , 

(D) লেখাপড়ায় মনোযোগ না দেওয়ার জন্য । 

Ans: (B) নিজের লেখা গল্প না পড়ার জন্য ;

  1. তপনের লেখা যে গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল 

(A) রাজা ও রানী ‘ , 

(B) ‘ অ্যাকসিডেন্ট ‘ ,

(C) ‘ প্রথম দিন ‘ , 

(D) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা ।

Ans: (C) ‘ প্রথম দিন ‘ ; 

  1. ‘ সেই বই নাকি ছাপাও হয়’- যার লেখা বই ছাপা হয় – 

(A) তপনের লেখা বই , 

(B) ছোটোমাসির লেখা বই , 

(C) তপনের নতুন মেসোর লেখা বই , 

(D) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই । 

Ans: (C) তপনের নতুন মেসোর লেখা বই  

  1. ‘ এ দেশের কিছু হবে না ‘ – কথাটি কে বলেছিলেন ? – 

(A) তপন

(B) ছোটোমেসো , 

(C) তপনের বাবা

(D) তপনের কাকা ।

Ans: (B) ছোটোমেসো ; 

  1. ‘ তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা , কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ , তখন আহ্লাদে ______ হয়ে যায় ।

(A) আনন্দিত , 

অনলাইনে বেস্টসেলিং বই কিনুন

(C) কাঁদো কাঁদো , 

(B) দুঃখিত , 

(D) বিহ্বল । 

Ans: (C) কাঁদো কাঁদো ; 

  1. তপনের মেসোমশাই কোন্ পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন ? 

(A) ‘ শুকতারা ‘ , 

(B) ‘ আনন্দমেলা ‘ ,

(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ , 

(D) ‘ দেশ ‘ ।

Ans: (C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘

  1. তপনের মেসোমশাই কোন্ পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর কথা বলেছিলেন ? 

(A) ‘ ধ্রুবতারা ‘ , 

(B) শুকতারা ‘ , 

(C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ , 

(D) ‘ রংমশাল ‘ । 

Ans: (C) ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ 

  1. তপন যে কারণে মামাবাড়িতে এসেছে , তা হল – 

(A) ছোটোমামার বিয়ে উপলক্ষ্যে , 

(B) ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে , 

(C) পুজোর ছুটি কাটাতে , 

(D) বড়োদিনের ছুটি কাটাতে । 

Ans: (B) ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে ; 

  1. ছোটো মেসোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন ? 

(A) এমন চমৎকার গল্প আগে কখনও পড়েননি , 

(B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশন ‘ করতে হবে , 

(C) তোমার এখন পড়াশোনা করার বয়স তাই করো , 

(D) গল্পটা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে ছাপাতে দেবেন । 

Ans: (B) এই গল্পটাই একটু ‘ কারেকশন ’ করতে হবে ।

  1. 14. চায়ের টেবিলে তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে

(A) সকালে , 

(B) বিকেলে ,

(C) সন্ধ্যায় , 

(D) রাতে ।

Ans: (B) বিকেলে

  1. তপনের হাত আছে ।’- কথাটির অর্থ হল 

(A) হস্তক্ষেপ , 

(B) ভাষার দখল ,

(C) মারামারি , 

(D) জবরদস্তি । 

Ans: (B) ভাষার দখল ;

  1. বাড়িতে তপনের নাম হয়েছে

(A) গল্পকার , লেখক 

(B) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী

(C) কবি , লেখক , উত্তর 

(D) কথাশিল্পী , গল্পকার ।

Ans: (B) কবি , সাহিত্যিক , কথাশিল্পী

  1. ‘ শুধু এইটাই জানা ছিল না ‘ অজানা বিষয়টি হল –

(A) মেসো একজন লেখক ,

(B) তার গল্প ছাপা হবে , 

(C) মানুষই গল্প লেখে ,

(D) সে গল্প লিখতে পারে । 

Ans: (C) মানুষই গল্প লেখে ;

  1. তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল – 

(A) সকালবেলা , 

(B) দুপুরবেলা ,

(C) বিকেলবেলা , 

(D) রাত্রিবেলা ।

Ans: (B) দুপুরবেলা ; 

  1. নিজের গল্প পড়ে তপনের যা হয়েছিল – 

(A) আনন্দে আপ্লুত হয়েছিল , 

(B) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল , 

(C) চোখে জল এসে গিয়েছিল , 

(D) ক্রোধে আত্মহারা হয়েছিল । 

Ans: (B) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল ; 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer

  1. “ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের ” —কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?

Ans:  একজন লেখকের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল । 

  1. ” বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা ” —চায়ের টেবিলে কোন কথা ওঠে?

Ans: তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন — এই কথাই চায়ের টেবিলে ওঠে । 

  1. “ গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না । ” উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী ? 

Ans: গল্পটি ছাপানো নিয়ে তপনের থেকে তার নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথাই বেশি করে প্রচারিত হওয়ায় তপনের গল্প ছাপার আহ্লাদটা হারিয়ে যায় । 

  1. তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল ? 

Ans: ছোটোমাসি বলে , “ ও মা এ তো বেশ লিখেছিসরে ? কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? ” 

  1. ” তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয় । ” তপনের এই পুলকের কারণ কী ? 

Ans: কারণ তপন ভাবে তার লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে একমাত্র নতুন মেসোই বুঝবে । 

  1. “ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা ” —কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: ছোটোমাসি আর মেসোমশাই যেদিন সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার একটি সংখ্যা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন , সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে ।

  1. ” বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের । ” কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে ?

Ans: তপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোটোমাসি আর মেসোমশাই – এর হাতে থাকা ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার একটি সংখ্যা দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে । কারণ তপন ভাবে হয়তো তার অপেক্ষার অবসান এবার ঘটতে চলেছে নিজের লেখা গল্প ছাপার মধ্য দিয়ে ।

  1. “ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ” – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ?

Ans:  পত্রিকায় তপন কুমার রায়ের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া এবং সেই পত্রিকা বহু মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনাকেই ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে । ।

  1. “ তা ঘটেছে , সত্যিই ঘটেছে । ” কী ঘটেছে ?

Ans:  তপনের লেখক মেসো তার একটি গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন । এই অবিশ্বাস্য , অভূতপূর্ব ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে । 

  1. “ সূচিপত্রেও নাম রয়েছে ” সেখানে কী লেখা ছিল ? 

Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল — ‘ প্রথম দিন ‘ ( গল্প ) শ্রী তপন কুমার রায় ।

  1. “ ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে । ” কোন কথাটা ?

Ans: তপনের লেখা গল্পটি কিছুটা ‘ কারেকশান ‘ করে মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়েছেন – এই কথাটিই সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে ।

  1. “ আর কখনো শুনতে না হয় – ” কাকে , কী শুনতে না হয় ? 

Ans: তপনের যেন আর কখনো শুনতে না হয় , “ অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।”

  1. ” তপন আর পড়তে পারে না । ” কেন তপন আর পড়তে পারে না ? 

Ans: নিজের লেখা ছাপানো গল্পটি পড়তে গিয়ে যখন তপন দেখে গল্পটিকে মেসো আগাগোড়াই কারেকশান করে নিজের পাকা হাতের কলমে নতুন করে লিখেছেন তখন তপন আর পড়তে পারে না ।

  1. ‘ এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন , ‘ সংকল্পটি কী ? 

Ans: তপন সংকল্প করেছিল , ভবিষ্যতে যদি কখনও আর কোনো লেখা ছাপাতে হয় , তবে সে নিজে হাতে সেই লেখা পৌঁছে দিয়ে আসবে পত্রিকার অফিসে।

  1. ‘ তপনকে যেন আর কখনো না শুনতে হয় ‘ এখানে কী শোনার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: তপনকে যেন আর কখনও শুনতে না হয় যে , অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে ।

  1. ‘ তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , – কীসের কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছুই নেই । 

  1. ‘ গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ‘ – তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল কেন ? 

Ans: স্কুলের হোমটাস্কের খাতায় একাসনে বসে তপন নিজের প্রথম গল্পটি লিখে ফ্যালে । তারপর নিজের লেখা আস্ত গল্পটি পড়ে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। 

  1. ‘ তিনি নাকি বই লেখেন , ‘ এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: এখানে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে । 

  1. ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – র পত্রিকার কী লেখা ছিল ? 

Ans: ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সূচিপত্রে ছাপার হরফে লেখা ছিল , ‘ প্রথম দিন ‘ ( গল্প ) শ্রী তপন কুমার রায় । 

  1. ‘ তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল ? 

Ans: তপনের গল্পটা সবটা না পড়েই একটু চোখ বুলিয়ে পিঠ চাপড়ানোর সুরে ছোটোমাসি বলেছিল , তার লেখাটি ভালোই হয়েছে । খানিক রসিকতার সুরে এটা কোথাও থেকে টুকলিফাই করা কিনা সে কথা ছোটোমাসি জানতে চেয়েছিল ।

  1. ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটি কার লেখা ? এর উৎস উল্লেখ করো । 

Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পটির উৎস হল তাঁর ‘ কুমকুম নামক ছোটোদের গল্পসংকলন। 

  1. ‘ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ! ‘ – কোন্ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ? 

Ans: লেখকরা ভিন্ন জগতের প্রাণী — এটিই ছিল তপনের ধারণা । কিন্তু তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক শুনে বিস্ময়ে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল । 

  1. ‘ সত্যিকার লেখক ।’— এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের কোন্‌ ভাব প্রকাশিত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ? 

Ans: এই উক্তির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা আদৌ বাস্তব জগতের মানুষ নন – এই অলীক ভাবনা নতুন মেসোর সঙ্গে পরিচয়ে ভেঙে যাওয়াতেই এমন উক্তি । 

  1. ‘ এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা । ‘ –কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: ছোটোমাসি ও লেখক মেসোমশাইয়ের ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসার কথা প্রদত্ত অংশে বলা হয়েছে । 

  1. ‘ এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের ।’— কোন্ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ? 

Ans: লেখকদের যে বাস্তব জীবনে কখনও দেখা যেতে পারে , তাঁরাও যে তপনের বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকার মতোই সাধারণ মানুষ— সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল । 

  1. ‘ আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন ।’— কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ? 

Ans: লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে তপন বুঝতে পারে লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয় , তাদেরই মতো মানুষ । 

  1. ‘ তখন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।’— কে , কেন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ?

Ans: ছোটোমেসো তপনের লেখাটা ছাপানোর কথা বললে তপন প্রথমে সেটাকে ঠাট্টা বলে ভাবে । কিন্তু মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় । 

  1. ‘ মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা ।’— উক্তিটি কার ? কোন্‌টা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে ? 

Ans: উক্তিটি তপনের ছোটোমাসির । তপনের লেখা গল্পটা ছোটোমেসো যদি একটু কারেকশন করে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেন , তবে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে । 

  1. ‘ নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা ।’— তপন কী জেনেছিল ? 

Ans: তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল । 

  1. ‘ যেন নেশায় পেয়েছে ।’— কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে ? 

Ans: নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন যে – গল্প লিখেছিল তা মাসির উৎসাহে মেসো ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন । এরপর থেকে তপনকে গল্প লেখার নেশায় পায় । 

অতিরিক্ত কিছুঃ

SAQ (Short Answer Question):

১. ছোটোমেসো কেমন ধরনের মানুষ ছিলেন?
👉 ছোটোমেসো একজন অন্তর্মুখী, শান্ত স্বভাবের, সাহিত্যপ্রেমী মানুষ ছিলেন।
তিনি নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন এবং কাউকে কষ্ট দিতে চাইতেন না।
তাঁর আচরণে ছিল পরিশীলিত সৌজন্যবোধ।


২. তপনের গল্প পড়ে ছোটোমেসোর প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
👉 ছোটোমেসো গল্পটি পড়ে বিস্মিত ও আনন্দিত হন।
তিনি গল্পটি অনেক প্রশংসা করেন এবং সামান্য সম্পাদনা করে পাঠাতে বলেন।
তিনি তপনের প্রতিভা চিনতে পারেন।


৩. তপনের মা ছোটোমেসো সম্পর্কে কী ভাবতেন?
👉 তপনের মা ছোটোমেসোকে অলস ও অদক্ষ মনে করতেন।
তিনি সাহিত্যচর্চাকে অকাজের কাজ বলেই মনে করতেন।
তাঁর দৃষ্টিতে ছোটোমেসো সংসারের বোঝা।


৪. তপন কিভাবে নিজের লেখা গল্প ছোটোমেসোর কাছে পৌঁছে দেয়?
👉 তপন নিজের লেখা গল্পটি ছোটোমেসোর টেবিলে লুকিয়ে রাখে।
সে সরাসরি না দিয়ে ছোটোমেসোর প্রতিক্রিয়া জানতে চায়।
এতে তার সাহস এবং কৌশল প্রকাশ পায়।


৫. ছোটোমেসো কেন তপনের লেখা গল্প নিজের নামে পাঠাননি?
👉 ছোটোমেসো ছিলেন নীতিবান এবং আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ।
তিনি অন্যের লেখা নিজের নামে পাঠানোকে অন্যায় মনে করেন।
তাই গল্পটি তপনের নামেই পাঠান।


৬. ‘জ্ঞানচক্ষু’ নামকরণের তাৎপর্য কী?
👉 ‘জ্ঞানচক্ষু’ মানে হল অন্তর্দৃষ্টি বা প্রকৃত বিচার করার ক্ষমতা।
গল্পে ছোটোমেসো তপনের প্রতিভা চিনে নিতে পারেন এই জ্ঞানচক্ষুর মাধ্যমে।
এটি একটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।


৭. ছোটোমেসোর সৌজন্যবোধ কীভাবে বোঝা যায়?
👉 ছোটোমেসো কখনো কারো সঙ্গে তর্কে জড়ান না।
তিনি বিনয়ী এবং ভদ্রভাষায় কথা বলেন।
তপনের মায়ের বিরূপ মন্তব্যকেও তিনি সহ্য করেন।


৮. তপনের সাহিত্যপ্রেম কীভাবে প্রকাশ পায়?
👉 তপন নিজের লেখা গল্প গোপনে ছোটোমেসোর কাছে পৌঁছে দেয়।
সে সাহিত্যে আগ্রহী এবং নিজের সৃষ্টির প্রতি আত্মবিশ্বাসী।
তাঁর লেখায় সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি দেখা যায়।

৯. ছোটোমেসো গল্পটি কোথায় পাঠানোর পরামর্শ দেন?
👉 ছোটোমেসো তপনের গল্পটি ‘মোহনা’ পত্রিকায় পাঠাতে বলেন।
তিনি বলেন, গল্পটি যদি একটু সম্পাদনা করা যায় তবে ছাপা হবে।
তিনি নিজে গল্পটি পোস্ট করেন।


১০. তপনের মনের পরিবর্তন কিভাবে ঘটে?
👉 প্রথমে তপন ছোটোমেসোকে গুরুত্ব দিত না।
কিন্তু তাঁর সহানুভূতি ও সাহায্যে তপনের চোখ খুলে যায়।
সে ছোটোমেসোর প্রকৃত মূল্য বুঝতে শেখে।

ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer

  1. নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।— ‘ জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল ?

Ans: আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে , যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে । একজন লেখক সম্পর্কে তপনের মনে যে ধারণা ছিল তা নতুন মেসোর প্র সংস্পর্শে এসে ভেঙে যায় । লেখকরা যে তার বাবা , মামা ও কাকাদের ল মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে সেটা সে প্রত্যক্ষ করে । তাদের মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , পলিটিকাল তর্কও করেন — এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । ও ভাবে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় , নিছক মানুষ । 

  1. রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই । — কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো । 

Ans: উদ্ধৃতিটি আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গৃহীত । জহর ‘ অর্থাৎ মূল্যবান রত্ন বিশেষজ্ঞকে জহুরি বলা হয় । এক্ষেত্রে জহুরি বলতে নতুন মেসোকে বোঝানো হয়েছে । লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা আস্ত গল্প লিখে মাসিকে দেখায় । মাসি তা নিয়ে সারাবাড়িতে শোরগোল বাধিয়ে মেসোকে দেখাতে যান । তপন ব্যাপারটায় আপত্তি তুললেও মনে মনে পুলকিত হয় এই ভেবে যে , তার লেখার মূল্য একমাত্র কেউ যদি বোঝে তবে ছোটোমেসোই বুঝবে , কেননা জহুরির জহর চেনার মতো একজন লেখকই পারে কোনো লেখার মূল্যায়ন করতে । 

  1. ‘ বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা । ” — কোন্ কথা উঠেছিল ? 

Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপন লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লেখে তার স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে । তা ছোটোমাসির হাতে পড়ে এবং মাসি তা নিয়ে বেশ হইচই করে তাঁর লেখক – স্বামীকে গল্পটি দেখান । তাঁর স্বামী গল্প দেখে তপনকে ডেকে তার গল্পের প্রশংসা করেন এবং সামান্য কারেকশান করে দিলে তা ছাপার যোগ্য এ কথাও বলেন । মাসির অনুরোধে মেসো তপনকে কথা দেন ‘ সন্ধ্যাতারায় তার গল্প ছাপিয়ে দেবেন । এ কথাটাই চায়ের টেবিলে উঠেছিল । 

  1. তপনের প্রথম গল্প লেখার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও ।

Ans: ছোটোমেসোকে দেখার আগে তপন জানতই না যে সাধারণ মানুষের পক্ষেও গল্প লেখা সম্ভব । কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একদিন দুপুরে সবাই যখন ঘুমের ঘোরে , তখন চুপিচুপি তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায় । তারপর একাসনে বসে হোম টাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত একটা গল্প । লেখা শেষ হলে নিজের লেখা পড়ে নিজেরই গায়ে কাঁটা দেয় তপনের , মাথার চুল খাড়া হয়ে ওঠে । উত্তেজিত তপন ছুটে নীচে এসে তার লেখক হওয়ার খবরটা ছোটোমাসিকে দেয় ।

  1. ‘ শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীর সংকল্প করে দুঃখের মুহূর্তটি কী ? তপন কী সংকল্প করেছিল ?

Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পের নায়ক তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তটি একপলকে দুঃখের মুহূর্তে পর্যবসিত হয় । কারণ সে প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে টের পায় , লেখক – মেসো গল্পটিকে সংশোধনের নামে প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন । এ গল্পকে আর যাই হোক তার নিজের লেখা বলা যায় না । এই ঘটনায় তপন সংকল্প করেছিল যে , যদি কোনোদিন নিজের কোনো লেখা ছাপতে দেয় , তবে নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে । ছাপা হোক বা না হোক অন্তত তাকে এ কথা শুনতে হবে না যে , কেউ তার লেখা প্রভাব খাটিয়ে ছাপিয়ে দিয়েছে । 

  1. ‘ আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন- কার কথা বলা হয়েছে ? ‘ আজ ‘ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখেরদিন ? 

Ans: এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে । মেসোমশাইয়ের দৃষ্টান্তে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং তাঁর প্ররোচনায় লেখক নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন । কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে ; অথচ সে কোথাও নেই । এই ঘটনা তপনের অন্তর্মনে আঘাত করে । লজ্জায় , অনুতাপে , আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে । নিজের কাছে নিজেই এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয় , ‘ আজ ‘ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন ।

  1. ‘ সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ – তপনের জীবনে সুখের দিনটি কীভাবে এল ? গল্পের শেষে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিন হয়ে উঠল ? 

Ans: লেখক মেসোমশাইয়ের সৌজন্যে ও বদান্যতায় সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের গল্পটি প্রকাশিত হয় । ছাপার অক্ষরে তপনকুমার রায়ের গল্প প্রকাশ পাওয়ার এই দিনটি প্রাথমিকভাবে তার জীবনে সবচেয়ে সুখের দিন হয়ে উঠেছিল । পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর সে দেখে পুরো গল্পটাই মেসো আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এ গল্পে শুধু তার নামটুকুই আছে ; অথচ সে কোথাও নেই । এই ঘটনা তপনের অন্তর্মনে আঘাত করে । লজ্জায় , অনুতাপে , আত্মসম্মানহীনতায় সে সকলের কাছ থেকে পালিয়ে ছাতের অন্ধকারে একলা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে । নিজের কাছে নিজেই এভাবে ছোটো হয়ে যাওয়ায় তার মনে হয় , ‘ আজ ‘ জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন । 

  1. পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে- কোন্ ঘটনাকে ‘ অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে ? অলৌকিক বলতে কী বোঝ ? 

Ans: মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটা গল্প লিখে ফেলে । সেই গল্পটি মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর প্রভাবে সত্যিই একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ছোট্ট তপনের কাছে তার গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পাওয়ার ঘটনা ছিল স্বপ্নের মতোই কাল্পনিক । তাই এই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলা হয়েছে । 

  1. ‘ গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না’- কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন ? 

Ans: এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তর্পনের লেখা প্রথম দিন ‘ গল্পটির কথা বলা হয়েছে । লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় । কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয় । তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন । মেজোকাকু বলেন , এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন । এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায় । তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায় ; গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না ।

  1. ‘ সে সব বই নাকি ছাপাও হয়।- উক্তিটিতে যে – বিস্ময় প্রকাশিত হয়েছে , তা পরিস্ফুট করো ।

Ans: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপন নামের বালকটি তার ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তার মেসো যে একজন লেখক , এ কথা জেনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় ) লেখকেরা যে সাধারণ মানুষ এবং তার মেসোমশাই একজন লেখক , যাঁর বই ছাপা হয় — এ তথ্য তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল । আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বালক তপনের মনের সেই বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer

  1. ” সত্যি তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এলো আজ ” –উদ্ধৃতাংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি কী ছিল ? বিবৃত করো । 

অথবা , ” পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ” —উদ্ধৃতাংশটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ? 

Ans: 

উৎস : সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জানচক্ষু ‘ শীর্ষক ছোটোগল্প থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে । 

    গল্প ছাপানোর খবর না পাওয়ায় আশাহত অবস্থা: তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসোমশাই নিয়ে গিয়েছিলেন । তপনকে এবং ছোটোমাসিকে তিনি বলেছিলেন গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু বেশ কিছুদিন চলে গেলেও সেই ছাপানো প্রসঙ্গে কোনো খবর তপনের কাছে না পৌঁছনোয় সে আশাহত হয়ে দিন কাটাতে থাকে ।

    তপনের জীবনের সুখের দিন বা অলৌকিক ঘটনা:  ছোটোমেসো তপনের গল্প নিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পরে তার জীবনে হঠাৎ সুখের দিন এসে উপস্থিত হয় । বিষণ্ণ মনে বসে থাকার সময়— “ ছোটোমাসি আর মেসো একদিনে বেড়াতে এল , হাতে এক সন্ধ্যাতারা।”

  সন্ধ্যাতারা পত্রিকার ওপর চোখ পড়ে তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে । তাহলে এতদিন পরে হয়তো সত্যিই তপনের জীবনে সুখের দিনটি এসে উপস্থিত হয়েছে বলে সে মনে মনে ভাবতে থাকে । সত্যিই কি তপনের লেখা গল্প ছাপানো হরফে হাজার হাজার ছেলে – মেয়ের হাতে ঘুরবে ? একথা ভেবে তপন পুলকিত হয় । তার মনে হয় , এ যেন পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া অলৌকিক ঘটনা । পত্রিকার সূচিপত্রে জ্বলজ্বল করে লেখা রয়েছে— “ প্রথম দিন ( গল্প ) শ্রী তপন কুমার রায় । ” সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় এবং তপনের লেখা গল্পের পত্রিকাটি একহাত থেকে অন্যহাতে আনন্দের সাথে ঘুরতে থাকে ।

  1. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি কীভাবে দুঃখের দিনে পরিণত হলো তা নিজের ভাষায় লেখো ।

Ans: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখিকা তথা ঔপন্যাসিক আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ শীর্ষক ছোটোগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের সুখের দিনটি দুঃখের দিনে পরিণত হয়েছিল ।

   তপনের জীবনের সুখের দিন : মামার বাড়িতে গিয়ে লেখা তপনের একটি গল্প ছোটোমেসো সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন । তিনি তপনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন , তার লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদককে বলে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেবেন। এরপর বেশ কিছুদিন কোনো খবর না আসায় তপন অনেকটা আশাহত হয়ে গেলে হঠাৎ তপনদের বাড়িতে– “ ছোটোমাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এল , হাতে এক সংখ্যা সন্ধ্যাতার। ” সেই পত্রিকা দেখে এবং তাতে তপন নিজের লেখা গল্প ছাপার কথা মনে  করে পুলকিত হয়ে ওঠে । এটাই ছিল তার সবচেয়ে সুখের দিন ।

    সুখের দিন দুঃখের দিনে পরিণত হওয়া:  তবে সেই সুখের দিনের শেষ পরিণতি  তপনের কাছে হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত বেদনার্ত । পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি একদিকে যেমন  কারেকশান করতে হয়েছে অন্যদিকে মেসোর সুপারিশেই তা ছাপা হয়েছে — বাড়িশুদ্ধ এরকম আলোচনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে । এতে তপন মনে মনে খুব কষ্ট পায় । এরপর মায়ের আদেশে গল্পটি পাঠ করতে গিয়ে তপন দেখে— “ এর প্রত্যেকটি লাইন তো নতুন আনকোরা , তপনের অপরিচিত । ” অর্থাৎ সম্পূর্ণ গল্পটি লেখক মেসো লিখে দিয়েছেন তাঁর পাকা হাতের কলমে । একমাত্র শিরোনাম ছাড়া তাতে তপনের কোনো অস্তিত্বই নেই । কিছুক্ষণ গড়গড়িয়ে পড়ার পর তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায় । আসলে দুঃখে – কষ্টে তপন ছাদে উঠে গিয়ে কেঁদে ফেলে সংকল্প করে— “ যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো , তপন নিজে গিয়ে দেবে । নিজের কাঁচা লেখা ছাপা হয় হোক , না হয় না হোক। ” এভাবেই তপনের সুখের মুহূর্তটি শেষে দুঃখের মুহূর্তে পরিণত হয়েছিল ।

  1. ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপনের চরিত্রটি আলোচনা করো ।

Ans: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখিকা ও কথাসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে তপন একটি অল্পবয়েসি ছেলে । সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির থেকে সে প্রায় আট বছরের ছোটো । তবে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য তপন আর পাঁচটা ছেলের থেকে আলাদা । 

     সাহিত্যপ্রীতি : তপন ছেলেবেলা থেকে অনেক গল্প শুনেছে আর এখন গাদা গাদা গল্প পড়ে । অর্থাৎ সাহিত্যের প্রতি তার ভালোবাসা বরাবরই রয়েছে।

    শিশুসুলভ কল্পনা লেখকেরা অসাধারণ মানুষ এরকম ধারণা ছিল তপনের । কিন্তু নতুন মেসো মশাইকে দেখে তপনের সে ধারণা পাল্টে যায় । তপন দেখে ছোটোমেসোমশাই লেখক হলেও – “…ওদের মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসেই – আরে ব্যস, এত কখন খাওয়া যায়? বলে অর্ধেক তুলিয়ে দেন , চানের সময় চান করেন ঘুমের সময় ঘুমোন । ” এমনকী খবরের কাগজ পড়েন ও সিনেমাও দেখেন । এসব দেখে তপনের মনে হয় , লেখকরাও সাধারণ মানুষ । 

     আত্মবিশ্বাসী:  গল্প পড়া ও শোনার প্রতি তপনের যথেষ্ট আগ্রহ ছিল । লেখক মেসোমশাইকে দেখে তার নিজের লেখার ক্ষমতা সম্পর্কে বিশ্বাস জন্মায় এবং মনে হয়— “ লেখক হতে বাধা কী” । তারপর তার প্রথম লেখা গল্পটি দেখে ছোটোমেসো যখন প্রশংসা করে সেটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তপন তখন আরও উৎসাহিত ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে একের পর এক গল্প লেখার নেশায় মেতে ওঠে । 

     অভিমানী:  ছোটোমাসির সাথে তপনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকায় সে তার লেখা গল্প ছোটোমাসিকে দেখালে তিনি বলেন , “ কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো ? ” এই কথা শোনামাত্রই তপন অভিমানী হয়ে পড়ে।

    বাস্তববোধ : ‘সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প দেখে পরিবারের সবাই প্রশংসা করে । কিন্তু যখনই মেসোমশাই কারেকশানের কথা বলেন তখনই তপনের মনে হয় তার কৃতিত্বটা অনেকটা ছোটো হয়ে যায় । এরপর সে প্রতিজ্ঞা করে — যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো , তপন নিজে গিয়ে দেবে । নিজের কাঁচা লেখা ছাপা হয় হোক না হয় না হোক।

  1. “ শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন ” –কোন মুহূর্তকে দুঃখের বলা হয়েছে ? তপনের কাছে মুহূর্তটি দুঃখের বলে মনে হয়েছে কেন ? তপন কী সংকল্প করেছে ? 

Ans : উৎস : কথাসাহিত্যিক ও লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর ‘ ‘জ্ঞানচক্ষু ‘ শীর্ষক গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি গৃহীত হয়েছে ।

   দুঃখের মুহূর্ত:   তপনের লেখা প্রথম গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল । সেই গল্পটি ছাপার ক্ষেত্রে বাড়ির লোক তপনের থেকে তপনের নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথাই বেশি করে বলেছিল । নতুন মেসো ‘কারেকশান ‘ করে দিয়েছিলেন বলে সেটি ছাপানো হয়েছে । এই কথাটি শুনে তপনের মন আহত হয়েছিল । তাই সেই মুহূর্তটিকে দুঃখের বলা হয়েছে ।

    মুহূর্তটি দুঃখের বলে মনে হওয়ার কারণ:  নতুন সৃষ্টি সব সময়ই স্রষ্টার মনে অব্যক্ত আনন্দ দেয় । তপনও তার প্রথম লেখা ‘প্রথম দিন ‘ নামক গল্পটি পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে বলে সেইরকম আনন্দই পেতে চেয়েছিল । সে ভেবেছিল সত্যিই তার জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনট এসেছে । কিন্তু পরেই মায়ের আদেশে পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প পরতে গিয়ে তপন দেখল মেসোমশাই কারেকশান করার নাম করে প্রায় পুরো বদলে দিয়েছেন । এরপর “তপন আর পড়তে পারে না । বোবার মত বসে থাকে।” তপন কিন্তু নতুন মেসোমশাই – এর এই কাজটিকে মনে মনে মানতে পারেনি । নতুন মেসো কিশোর তপনের লেখক মনটাকে গুরুত্ব না দেওয়ার হৃদয়মনে সে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল । তাই তপনের কাছে সেই মুহূর্তটিকে দুঃখের বলে মনে হয়েছিল ।

    সংকল্প : তপন মায়ের আদেশে গল্পটি পড়ে মনে খুব কষ্ট পায় । তখন সে মনে শক্ত করে একটা সংকল্প করে যে , লেখা যদি কখনো ছাপতে দেয় তাহলে সে নিজে গিয়ে দেবে । তাতে লেখাটি ছাপা না হলেও তপনের কিছু যায় আসবে না । “ নিজের কাঁচা লেখা  ছাপা হয় হোক না হয় না হোক” , অন্তত তাকে শুনতে হবে না যে , “ অমুখ তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।” আর তপনকে যেন নিজের গল্প পড়তে বসে মনের সমস্ত কষ্ট চেপে রেখে অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয় এটাই সে সংকল্প করে । 

  1. “নতুন মেসোকে দেখে ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ খুলে গেল তপনের ” — উৎস লেখো । উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো । 

Ans: উৎস : আলোচ্য অংশটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথাসাহিত্যিক তথা লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ শীর্ষক গল্প থেকে উদ্ধৃত । তপন ছেলেবেলা থেকেই অনেক গল্প শুনেছে । সে কিশোর হয়ে অনেক গল্প পড়েছে । তবে তার মনে কিন্তু একটা অজানার জায়গা ছিল । সে ভাবত গল্পের যারা রূপকার অর্থাৎ লেখকেরা তার বাবা , ছোটোমামা , মেজোকাকুর মতো মানুষ নয় , তারা ছিল একটু অন্য জগতের মানুষ ।

    তাৎপর্য:  একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তপনের সমস্ত ধারণা পাল্টে যায় । ক’দিন আগে তপনের ছোটোমাসির সঙ্গে বিবাহ হওয়া নতুন মেসোমশাই হলেন কলেজের প্রফেসার । অন্যদিকে তিনি আবার একজন লেখকও । তপন এই প্রথম এত কাছ থেকে জলজ্যান্ত একজন লেখককে দেখায় তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়ে সে দেখল- ” কোথাও কিছু উলটোপাখটা নেই , অন্যরকম নেই , একেবারে নিছক মানুষ । ” লেখকেরাও তপনের বাবা , মামা , কাকুর মতো দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসেই “ আরে ব্যস , এত কখনো খাওয়া যায় ? ” বলে অর্ধেকটা তুলে দেন । স্নানের সময় স্নান করেন , ঘুমের সময় ঘুমোন । তাছাড়া তারাও খবরের কাগজের কথা নিয়ে প্রবলভাবে গল্প এবং তর্ক করেন আর শেষ পর্যন্ত “ এদেশের কিছু হবে না ” বলে সিনেমা দেখতে চলে যান কিংবা বেড়াতে বের হন সেজেগুজে । লেখকদের সম্পর্কে এই বাস্তব ধারণা পেয়েই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল অর্থাৎ তপনের অন্তর্দর্শন ঘটেছিল । 

6. ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? গল্পটি পড়ে তুমি কী শিক্ষা পেলে লেখো । 

Ans: ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটির লেখিকা কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী । তিনি জ্ঞানচক্ষু কী ? জ্ঞানচক্ষু ’ বলতে মানুষের আত্ম – অনুভূতি এবং অন্তদৃষ্টি লাভের বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন । ” জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটির নায়ক তপন । ছোট্ট তপন তার সীমিত জীবনবৃত্তে কখনও কোনো লেখককে দেখেনি । তাই সত্যিকারের লেখক নতুন মেসোকে দেখে সাহিত্যিক সম্পর্কে তার সমস্ত ভুল ধারণার নিরসন হয় । মেসোকে হাতের কাছে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সে নিজেই এবার একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । 

এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং লেখক মেসোর প্রভাবে সেই গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সে মনে মনে বেশ গর্বও অনুভব করে । কিন্তু ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে টের পায় সংশোধন করতে গিয়ে লেখক – মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে সঙ্গ পড়ে প্রাপ্ত শিক্ষা ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই কোথাও খুঁজে পায় না । ফলে তপনের লেখকমন আহত হয় । সে দুঃখে , লজ্জায় ও অসম্মানে একলা হাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে । এমন গভীর খারাপ লাগার দিনে দাঁড়িয়ে সে সংকল্প করে ; ভবিষ্যতে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের লেখা নিজেই ছাপতে দেবে । আসলে কাউকে অবলম্বন করে কিছু পেতে গেলে যে আত্মসম্মান খুইয়ে নিজের মনের আয়নায় নিজেকেই ছোটো হয়ে যেতে হয় এই শিক্ষাই তপন লাভ করে আর আমরাও তার সঙ্গে টের পাই স্বকীয়তা এবং আত্মমর্যাদাবোধের সঙ্গে আপস করে কখনই জীবনে কিছু লাভ করা যায় না ।

আরো পড়ুনঃ বহুরুপী (গল্প) সুবোধ ঘোষ – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর

---Advertisement---

Related Post

SSC CHSL, SLST, WBCS History Special: 100 Questions on German Nazism with Answers | জার্মান নাৎসিবাদ সম্পর্কে ১০০টি প্রশ্ন ও উত্তর

Questions on German Nazism with Answers: সরকারি চাকরির প্রস্তুতিতে ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে SSC CHSL, SLST ও WBCS-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য। ইতিহাসের মধ্যে জার্মানির নাৎসিবাদ ...

SSC CHSL 2025 Practice Set 3 – Solve Important Questions in GK, English & Reasoning each part 20 questions

SSC CHSL 2025 Practice Set 3: Preparing for the SSC CHSL 2025 exam? Then you’ve landed at the right place! This blog presents a carefully curated SSC CHSL Practice Set ...

📘 SSC CHSL 2025 Practice Set 2 – Solve Important Questions in GK, English & Reasoning

SSC CHSL 2025 Practice Set 2: Preparing for the SSC CHSL 2025 exam? Then you’ve landed at the right place! This blog presents a carefully curated SSC CHSL Practice Set ...

✳️ SSC CHSL, SLST, WBCS History Special: 50 MCQs on World War II and United Nations l দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (UN) – ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

50 MCQs on World War II and United Nations: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (UN) সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে SSC CHSL, ...

1 thought on “Madhyamik Bengali Question and Answer 2026 l মাধ্যমিক বাংলা ‘জ্ঞানচক্ষু’ প্রশ্নোত্তর | আশাপূর্ণা দেবীর গল্প জ্ঞানচক্ষু থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন – মাধ্যমিক বাংলা প্রস্তুতি”

Leave a Comment