WB SLST History 2025: SLST 2025 ইতিহাস পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খলজি বংশ প্রশ্নোত্তর ও তুঘলক বংশ প্রশ্নোত্তর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব খলজি ও তুঘলক বংশ SLST ইতিহাস সিলেবাস অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রশ্নোত্তর, যা SLST 2025 ইতিহাস MCQ প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। যারা WB SLST History 2025 পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি ইতিহাস SLST 2025 প্রশ্নোত্তর গাইড হিসেবে কাজ করবে।
এই ব্লগে থাকছে SLST ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে আলোচনা, SLST ইতিহাস প্রশ্ন PDF লিঙ্ক, ইতিহাস মক টেস্ট SLST 2025, SLST ইতিহাস MCQ Bengali, এবং ইতিহাস টপিক ভিত্তিক প্রশ্ন SLST-এর উপর ভিত্তি করে প্র্যাকটিস সেট। এছাড়াও খলজি বংশ SLST প্রস্তুতি ও তুঘলক বংশ SLST ইতিহাস গাইড সহ, SLST ইতিহাস সাজেশন ২০২৫ এবং SLST ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর-সহ খলজি-তুঘলক সাম্রাজ্য MCQ ও SLST ইতিহাস Model Paper-এর পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে।
SLST History Suggestion Bengali ভাষায় খুঁজছেন? তাহলে এই পোস্টটি আপনাকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। SLST ইতিহাসে ভালো নম্বর তুলতে চাইলে এই ব্লগটি অবশ্যই পড়ুন।
Table of Contents
WB SLST History 2025 l খলজি ও তুঘলক বংশ ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন
তুঘলক বংশ (১৩২০-৮৮ খ্রীঃ)
‘তুঘলক’ শব্দটিকে উপাধি বা বংশের নাম হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি এটি ব্যক্তিগত নাম বোঝাতে ব্যাবহার করা হত।
আমীর খসরু ‘তুঘলকনামা’ গ্রন্থে গাজী মালিককে ‘তুঘলক গাজী’ নামে অভিহিত করেন।
আমীর খসরুর মতে তখন মোঙ্গল নেতারও ‘তুঘলক’ নাম গ্রহণ করত।
বেনারসীপ্রসাদ সাক্সেনা মনে করেন, ‘তুঘলক’ ছিল গিয়াসউদ্দিনের ব্যক্তিগত নাম, কোন বংশ বা জাতির নাম নয়। ‘মহম্মদ-বিন-তুঘলক’ নামের অর্থ তুঘলকের সন্তান মহম্মদ।
সামস-ই-সিরাজ আফিফ তাঁর ‘তারিখ- ই-ফিরোজশাহী’ গ্রন্থে এই বংশের প্রথম শাসককে ‘সুলতান তুঘলক’ এবং দ্বিতীয় শাসককে ‘সুলতান মহম্মদ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
মধ্যযুগে প্রতিষ্ঠাতার নামে শাসকগোষ্ঠীর সামগ্রিক পরিচয় প্রদানের রীতি প্রচলিত ছিল। তাই ‘সম্পূর্ণ সঠিক না হলেও এই বংশকে ‘তুঘলক বংশ’ নামে অভিহিত করা সুবিধাজনক।
ইবন বতুতা “রেহালা’ গ্রন্থে তুঘলকদের তুর্কীস্থানের ‘কোরানা’ -গোষ্ঠীর লোক বলে অভিহিত করেছেন।
তুঘলকরা সম্ভবত তুর্কীস্থান ও সিন্ধুর মধ্যবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করত।
মার্কোপোলো ‘কোরানা’ অর্থে তাতারবংশীয় পিতা ও ভারতীয় মাতার সন্তানকে বুঝিয়েছেন।
কেউ কেউ ‘কোরানা’ শব্দটিকে সংস্কৃত শব্দ ‘করনা’-র সমার্থক বলে মনে করেন, যার অর্থ ক্ষত্রিয় পিতা ও শুদ্র মাতার বিবাহজাত সন্তান। (গাজী মালিকের বাল্য-ইতিহাস অনুযায়ী সম্পূর্ণ ভারতীয় সৃষ্টিতত্ব মানা যায় না)।
‘তারিখ-ই-রসিদি’ গ্রন্থের ভিত্তিতে ইলিয়াস (Nay Elias) মনে করেন, কোরানা-তুর্কীরা ছিল মোঙ্গলদের একটি শাখা।
ফেরিস্তার মতে, গিয়াসউদ্দিনের পিতা ছিলেন তুর্কী ক্রীতদাস এবং মাতা ছিলেন লাহোরের জনৈকা জাঠ রমণী।
মোটামুটিভাবে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, ভারতবর্ষ, মধ্য-এশিয়া এবং পারস্যে ‘সংকরজাতি’ বোঝাতেই ‘কোরানা’ শব্দটি ব্যবহৃত হত। এবং এই শব্দ দ্বারা মোঙ্গল বা তুর্কী পিতা এবং অ-তুর্কী মাতার মিলনজাত সন্তানকে বোঝাত।
গিয়াসউদ্দিন তুঘলক শাহ গাজী (১৩২০-২৫ খ্রীঃ)
গিয়াগউদ্দিন তুর্কী পিতা ও হিন্দু মাতার সন্তান ছিলেন। তাই তাঁর চরিত্রের মধ্যে তুর্কীর উদ্যম ও শক্তি এবং হিন্দুর সহনশীলতার সমন্বয় ঘটেছিল।
WB SLST History 2025 l ইতিহাস SLST 2025
আফিক ও ইবন বতুতার মতে, তিনি প্রথমে জালালউদ্দিন খলজীর আমলে সামরিক বৃত্তিতে নিযুক্ত হন।
খসরুর মতে, জালালউদ্দিন খলজীর মৃত্যুর পর গিয়াসউদ্দিন আলাউদ্দিনের ভাই উলুঘ খাঁর অধীনে চাকরি নেন।
উলুঘ খাঁ’র মৃত্যুর পর তিনি আলাউদ্দিনের অধীনে নিযুক্ত হন এবং মোঙ্গল আক্রমণের বিরুদ্ধে সাফল্য প্রদর্শন করে সুলতানের সুনজরে আসেন।
মোঙ্গল নেতা ইকবালমন্দের বিরুদ্ধে সাফল্য অর্জনের পর পুরস্কার হিসেবে তিনি দীপালপুরের ইক্তা লাভ করেন।
ইবন বতুতা লিখেছেন, গিয়াসউদ্দিন ঊনত্রিশবার মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে খসরুর মতে, এই সংখ্যা আঠারো।
নাসিরুদ্দিন খসরু শাহ কর্তৃক দিল্লীর মসনদ অধিকৃত হলে গাজী মালিক বিদ্রোহী হন। এবং খসরু শাহকে হত্যা করে অভিজাতদের অনুরোধক্রমে গিয়াসউদ্দিন তুঘলক নাম নিয়ে ৮ই সেপ্টেম্বর, ১৩২০ খ্রীঃ দিল্লির সিংহাসনে বসেন।
তিনটি কারণে গিয়াসউদ্দিনের ক্ষমতালাভ তাৎপর্যপূর্ণ :
(১) সুলতানি ইতিহাসে এই প্রথম সুলতান সর্বসম্মতিক্রমে মনোনীত হলেন,
(২) জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধ থেকেই দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে গ্রহণ করা হল।
(৩) কোন রাজতান্ত্রিক ঐতিহ্য ব্য না-থাকা না-থাকা সত্ত্বেও সমেও অভিজাতগণ অভিজাতগণ গিয়াসউদ্দিনে গিয়াসউদ্দিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালেন না।
গিয়াসউদ্দিনের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে বরণী লিখেছেন: “অন্যের যে কাজ সম্পন্ন করতে কয়েক বছর লেগে যায়, সেখানে তিনি কয়েক দিনেই তা সমাধান করতে পারেন।”
গিয়াসউদ্দিনের কর্মধারার মধ্যে বরণী সুলতান ‘আলাউদ্দিনের ছায়া দেখেছেন।
গিয়াসউদ্দিনের আমলে বিচারবিভাগের দক্ষতা এমন স্তরে পৌঁছেছিল যে, বলা হয় ‘নেকড়ে মেষশাবককে আক্রমণ করতে ভয় করত কিংবা হরিণ সিংহের পাশে একই ঝরনায় জল পান করতে পারত।’
গিয়াসউদ্দিনের সমস্যাদি
সিন্ধুর শাসক অমর থাট্টা নিম্ন-সিন্ধুর কিছু অংশ দখল করে দিল্লীর কর্তৃত্ব একপ্রকার অগ্রাহ্য করেই শাসন চালাচ্ছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ইতিহাস SLST 2025 প্রশ্নোত্তর – চাকরি পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ গাইড
বাংলাদেশের শাসক ‘চিরবিদ্রোহী’ সামউদ্দিন ফিরোজের মৃত্যুর পর এক গৃহযুদ্ধ দ্বারা ফিরোজের পুত্র গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর সোনারগাঁও, লখনৌতি দখল করে প্রায় স্বাধীন শাসনের সূচনা করেছিলেন।
তিরহৃত, জাজনগর (উড়িষ্যা) প্রভৃতি অঞ্চলে হিন্দু জমিদারদের স্বাধীন কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বরঙ্গল বা তেলেঙ্গানার শাসক প্রতাপরুদ্র এবং হোয়সলরাজা বীরবল্লাল দিল্লীর অধীনতা অস্বীকার করে একপ্রকার স্বাধীনভাবে রাজত্ব চালাতে থাকেন।
সামরিক অভিযান
গিয়াসউদ্দিন সামরিক বাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলাস্থাপন ও কর্মদক্ষতাবৃদ্ধির জন্যে আলাউদ্দিনের আমলের ‘দাগ’ ও ‘হুলিয়া’ প্রথা কঠোরভাবে বলবৎ করেন।
গিয়াসউদ্দিন ১৩২১ ও ১৩২৩-এ তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ফকরউদ্দিন মহম্মদ জুনা খাঁ (উলুঘ খাঁ)-র নেতৃত্বে বরঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযান পাঠান। প্রথম অভিযান ব্যথ ব্যর্থ হয় এবং দ্বিতীয় অভিযানে কাকতীয়রাজ প্রতাপরুদ্রদেব আত্মসমর্পণে বাধ্য হন।
বরঙ্গলের নতুন নামরাখেন সুলতানপুর।
বরঙ্গল দিল্লীর অন্তর্ভুক্ত হলে জুনা খাঁকে সেখানকার শাসক নিযুক্ত হন।
বরঙ্গল অভিযানের অঙ্গ হিসাবে জুনা খাঁ ১৩২৪-এ উড়িষ্যার জাজনগর রাজ্য আক্রমণ করেন। রাজা ভানুদেব সুলতানি বাহিনীর কাছে তিনি পরাজিত হন।
জাজনগরের রাজা ভানুদেব (১৩০৬- ২৮ খ্রীঃ) বরঙ্গলের রাজা প্রতাপরুদ্রকে সাহায্যদান এবং গণ্ডোয়ানার শাসকের সাথে মিত্রতাস্থাপনের জন্য সুলতানের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।
জুনা খাঁ জাজনগর থেকে প্রচুর ধনসম্পদ এবং ৫০টি যুদ্ধহস্তী সংগ্রহ করেন। এই সাফল্যের জন্য গিয়াসউদ্দিন জুনা খাঁকে ‘জগতের নেতা’ (Khan of the World) নামে সম্মানিত করা করেন।
শের মুঘল-এর নেতৃত্বে মোঙ্গলরা সিন্ধু অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়লে সামানার শাসক গুরুসাস্প সুলতানের কাছে সাহায্যের আবেদন জানালে, গিয়াসউদ্দিন মালিক সাদির নেতৃত্বে সেনাসাহায্য প্রেরণ করেন। গুরুসাস্প ও সাদি খাঁ মোঙ্গলদের পরাজিত ও বিতাড়িত করেন। বহু মোঙ্গলকে বন্দী করা হয়।
সাদি খাঁ গুজরাটের বিদ্রোহ দমন করেন। তবে বিদ্রোহীদের হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আগা মাহদী হোসেন-এর মতে, গিয়াসউদ্দিন দাক্ষিণাত্য বিজয়ের তুলনায় বাংলাদেশে কর্তৃত্ব স্থাপনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
শিহাবউদ্দিন ও নাসিরুদ্দিন সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলকের সাহায্য প্রার্থনা করেন গিয়াসউদ্দিন স্বয়ং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযান চালান।
গিয়াসউদ্দিন বাহাদুরকে পরাজিত ও বন্দি করে তার ভ্রাতা নাসিরুদ্দিনকে লখনৌতির শাসক নিযুক্ত করা হয়।
সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও এর শাসনভার দেওয়া হয় তাতার খাঁর হাতে।
বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে গিয়াসউদ্দিন তিরহৃত (ত্রিহৃত) আক্রমণ করেন শাসক ছিলেন হর সিং।
তিরহুতের শাসনভার আহমেদ খাঁর হাতে দেওয়া হয়।
অভ্যন্তরীণ-নীতি
গিয়াসউদ্দিন ৰাস্তববাদী শাসক হিসবে দৃঢ় অথচ নমনীয় বা ‘Kich and kiss’ নীতি গ্রহণ করেন।
খলজীবংশের বিবাহযোগ্য কন্যাদের বিবাহের ব্যবস্থাও করে তিনি নিজের এক উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হন।
গিয়াসউদ্দিন এক নির্দেশ জারি করে বলেন, ‘রাজকোষের সম্পদ কেবলমাত্র জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত’।
গিয়াসউদ্দিন ভূমিব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করে জমি-জরিপের (হুকুম-ই-মাসাহাত) ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণের পরিবর্তে কৃষি জমিতে রাজস্ব-কর্মীর উপস্থিতিতে উৎপন্ন ফসল ভাগ করার (হুকুম-ই-হাসিল) ব্যবস্থা চালু করেন।
সম্ভবত তিনি চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশ স্বাভাবিক রাজস্ব নির্ধারণ করেন। এর উপরে কালক্রমে সর্বাধিক শতকরা ১০ বা ১১ ভাগ বৃদ্ধির অনুমোদন দেন।
সুলতান রাজস্ব-কর্মীদের সাবধান করে দেন যে, তারা যেন আকস্মিক রাজস্বের হার অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি না করে।
কৃষকের উন্নতি এবং উৎসাহ যাতে কোনভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকে সুলতানের তীক্ষ্ণদৃষ্টি ছিল।
মুকদ্দমদের হাতে রাজস্ব-সংগ্রহের দায়িত্ব ন্যস্ত করেন। গ্রাম-প্রধানদের (মুকদ্দম) নিজেদের আবাদী জমিকে করমুক্ত করে দেওয়া হয়।
বরণীর বিবরণ থেকে জানা যায় যে, গিয়াসউদ্দিন নির্দিষ্ট শর্তে Farming ব্যবস্থা চালু করেন। উৎপাদনবৃদ্ধির করতে নতুন নতুন এলাকাকে কৃষিকার্যের অধীনে আনার জন্য চাষীদের উৎসাহ দেন।
গিয়াসউদ্দিন একাধিক খাল খনন করে জলসেচের ব্যবস্থা করেন এবং অনাবৃষ্টির সময় কৃষকদের ‘তাকাবি’ ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
দস্যুদলের হাত থেকে কৃষক সম্প্রদায়কে রক্ষস ও আশ্রয় প্রদানের জন্যে স্থানে স্থানে কেল্লা নির্মাণ করেন।
গিয়াসউদ্দিনের কৃতিত্ব
বারাণী লিখেছেনঃ “তাঁর ব্যক্তিজীবন ছিল স্বচ্ছ এবং পবিত্র। মধ্যযুগীয় যে-সকল পাপ অধিকাংশ সুলতানকে গ্রাস করেছিল, তা থেকে গিয়াসউদ্দিন ছিলেন মুক্ত।” ঈশ্বরীপ্রসাদের মতে, “তিনি ছিলেন কোমল হৃদয় ও প্রজাদরদী শাসক।”
ভূমিব্যবস্থার ক্ষেত্রে তিনি আলাউদ্দিনের কঠোর নীতির পরিবর্তে ‘মধ্যপন্থা অনুসরণ করে বিচক্ষণতার পরিচয় দেন।
মুকদ্দম এবং মুক্তিদের রাজস্বব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত করে গিয়াসউদ্দিন তাদের সামাজিক মর্যাদা এবং বংশানুক্রমিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
সিংহাসনে আরোহণের পরেই তিনি দিল্লির সন্নিকটে একটি নতুন প্রাসাদময় শহর নির্মাণ শুরু করেন। তেলেঙ্গানা বিজয়ের বছরে এটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। এই নতুন শহরের নাম দেন ‘তুঘলকাবাদ’।
ব্যক্তি হিসেবে গিয়াসউদ্দিন উদারমনা হলেও, রাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের সময় তিনি ধর্মীয় অনুশাসনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি।
তিনি দিল্লি প্রথম সুলতান যিনি কৃষকদের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন।
কোন সরকারি কর্মচারী যাতে অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে রাজ দরবারে সকাল ও সন্ধ্যায় বিচারালয় বসত।
সুলতান গিয়াসউদ্দিনের রাজসভায় বহু পণ্ডিত আতিথ্য পেয়েছেন আমির খসরুকে এক হাজার তঙ্কা মাসিক বেতন ধার্য করে তিনি গুণগ্রাহিতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
গিয়াসউদ্দিনের রাজস্ব সংস্কারে হিন্দু জমিদাররা তাদের হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছিল।
বঙ্গদেশে বিদ্রোহ দমন করে সুলতান যখন দিল্লীতে প্রত্যাবর্তন করেন তখন জুনা খাঁ তুঘলকাবাদ থেকে ছয় মাইল দূরে আফগানপুরে একটা নতুন নির্মিত কাঠের মন্ডপে পিতাকে অভ্যর্থনা করার বন্দোবস্ত করেন। মণ্ডপটি হঠাৎ ভেঙে পড়ায় ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে গিয়াসউদ্দিনের মৃত্যু হয়।
আপনি কি বাংলা উক্তি, কবিতা ও গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাহলে এখনি ক্লিক করুন আমাদের ওয়েবসাইটে www.raateralo.com